हिंदी में पढ़ें தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Nov 16, 2019

রবিবার সনিয়া গান্ধির সঙ্গে মহারাষ্ট্র নিয়ে আলোচনায় বসছেন শরদ পাওয়ার

Maharashtra: কোনও দলই সে রাজ্যে সরকার গঠনে সমর্থ না হওয়ায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় মহারাষ্ট্রে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Maharashtra: শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস একসঙ্গে রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি জানাবে, বলেন শরদ পাওয়ার (ফাইল চিত্র)

মুম্বই:

মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) জোট সরকার গঠনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে রবিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির (Sonia Gandhi) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার, এমনটাই জানালেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। শুক্রবারই এনসিপি প্রধান (Sharad Pawar) ঘোষণা করেন আজ অর্থাৎ শনিবার রাজ্য়পালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানাবে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস। জানা গেছে, তিনটি দলই নূন্যতম অভিন্ন কর্মসূচিতে একমত হয়েছে । এনসিপি প্রধানের এই ঘোষণার পরেই কংগ্রেসের তরফ থেকে ওই কথা জানান খাড়গে। "কংগ্রেস একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি ১৭ নভেম্বর একত্রিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করবেন। তাঁরা কীভাবে এই সমস্যা সমাধান করবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর অন্যান্য পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা হবে", এএনআইকে বলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি আরও যোগ করেন, "একবার দু'জনে একসঙ্গে বসে আলোচনা করার পরেই পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, এবার শিবসেনার সঙ্গে এনসিপি-কংগ্রেস জোট হাতে হাত ধরে সরকার গঠন করবে মহারাষ্ট্রে। যদিও প্রথমে কিছুতেই শিবসেনার সঙ্গে সরকার গড়তে রাজি ছিল না কংগ্রেস । তবে শেষপর্যন্ত আদর্শগতভাবে শিবসেনার সঙ্গে মতভেদ থাকলেও একজোট হয়ে ওই ৩ দল পূর্ণ মেয়াদের সরকার চালাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি। জানা গেছে, শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের জন্যে অনুমতি চাইবে ওই তিন দল।

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছে সেনা-এনসিপি-কংগ্রেস, শনিবারই সরকার গঠনের দাবি

Advertisement

"এই সরকার গঠিত হবে এবং এটি পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদের সরকার হবে। আমরা সকলেই এই সরকারের পাঁচ বছর থাকা অবশ্যই নিশ্চিত করব", বলেন শরদ পাওয়ার।  

শিবসেনা এবং বিজেপি একজোট হয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন লড়ে এবং নির্বাচনের ফলাফলের পর দেখা যায় ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ওই জোট। যদিও ফলপ্রকাশের  পরে, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা দাবি করে যে মহারাষ্ট্রে বিজেপির পাশাপাশি মুখ্য়মন্ত্রী পদে বসতে দিতে হবে তাঁদের দলের প্রতিনিধিকেও। কিন্তু তাতে সম্মত হয়নি বিজেপি। এই নিয়েই দুই শরিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। বিজেপিকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্যে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি আহ্বান জানালেও তাঁরা বলে দেয় যে সরকার গঠন করতে রাজি নয় তাঁরা।

Advertisement

এরপরেই শিবসেনাকে সরকার গঠনের জন্যে আহ্বান জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। পরে, রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পরে, রাজ্য বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাতিল সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন, "জনাদেশ শিবসেনা-বিজেপি জোটের পক্ষে ছিল। তাই আমরা কখনোই একক ভাবে সরকার গঠন করে সেই জনাদেশের অপমান করতে পারি না। শিবসেনা যদি মহারাষ্ট্রের জনগণের রায়কে  অবমাননা করতে চায় এবং এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এ রাজ্যে সরকার গঠন করতে চায়, তবে তাঁদের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা রইল"।

রাজনীতি অনেকটা ক্রিকেট খেলার মতো, যখন তখন যা কিছু হতে পারে: নীতিন গডকড়ি

Advertisement

কোনও দলই সে রাজ্যে সরকার গঠনে সমর্থ না হওয়ায় এই সপ্তাহের শুরুতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় মহারাষ্ট্রে । জানা গেছে, বর্তমানে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচিতে একমত হয়েছে । এর আগে সরকারে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে একমত হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় দফায় দফায় বৈঠক করে ওই তিনটি রাজনৈতিক দল। শনিবার বিকেল তিনটের সময় সরকার গঠনের দাবি নিয়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে বৈঠক করবে ৩ দল।

Advertisement