Read in English
This Article is From Apr 19, 2019

এন ডি তিওয়ারির ছেলে রোহিতের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রবাদপ্রতীম নেতা এন ডি তিওয়ারির ছেলে রহিত শেখর তিওয়ারির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,

ময়না তদন্তের শরীরের বাইরের দিকে কোনও  ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি।   

Highlights

  • এন ডি তিওয়ারির ছেলে রহিত শেখর তিওয়ারির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়
  • পুলিশের অনুমান বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে
  • ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে
নিউ দিল্লি:

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রবাদপ্রতীম নেতা এন ডি তিওয়ারির ছেলে রহিত শেখর তিওয়ারির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। পুলিশের অনুমান বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। গত বুধবার রোহিতের মৃত্যু হয়। ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ফরেনসিক বিভাগ রোহিতের বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। দিল্লির ডিফেন্স কলোনি এলাকায় থাকতেন রোহিত।  তাঁর বাড়িতে সাতটি সিসিটিভি আছে। তার মধ্যে দুটি খারাপ। বাকি সিসিটিভি থেকে কয়েকটি তথ্য উঠে এসেছে। সেগুলিকে তদন্তের কাজে ব্যবহার করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

সাধ্বী বললেন হেমন্ত কারকারেকে অভিশাপ দিয়েছিলাম, শুনে হাততালি দিলেন বিজেপি নেতারা

একটি সূত্র বলছে উত্তরাখণ্ডে ভোট দিতে গিয়েছিলেন রোহিত। ফিরে আসেন ১৫ তারিখ বেশি রাতে। বাড়ির বাইরের দিকে থাকা সিসিটিভি  থেকে  দেখা গিয়েছে  সেদিন রাতে দেওয়াল ধরে  ধরে বাড়ির ভেতর ঢুকেছিলেন রোহিতকে। পর দিন সকালে  দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা উজ্জ্বলা তিওয়ারিকে ফোন করেন তিনি। রোহিত মাকে  জানান তাঁর শরীর খারাপ এবং নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। এ কথা শুনে  হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাড়ি যান মা। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রোহিতকে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে রোহিত যখন হাসপাতালের ফোন করেন তখন তাঁর স্ত্রী অপূর্ব এবং সিদ্ধার্থ নামে এক ভাই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। ময়না তদন্তের শরীরের বাইরের দিকে কোনও  ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি।   

Advertisement

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত নিয়মিত খবরে থাকতেন রোহিত। একটা সময় তিনি দাবি করেন এন ডি তিওয়ারি তাঁর বাবা। এই দাবির স্বপক্ষে টানা ৬ বছর  আইনি লড়াই করেছেন তিনি। ২০১২ সালে নেতার ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তোলেন রোহিত। কিন্তু উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে রাজি হননি। শেষমেষ অবশ্য ডিএনএ পরীক্ষায় রাজি হন তিনি। ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রোহিতকে এন ডি তিওয়ারির ছেলে বলে স্বীকৃতি দেয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেয় এন ডি তিওয়ারি প্রকাশ্যে এই বিষয়টি অস্বীকারও করতে পারবেন না। পরে প্রবীণ নেতা  নিজেই মেনে নেন বিষয়টি। সে বছরই মৃত্যু হয় তাঁর । মৃত্যুর পর বাবার নামে স্মৃতি সৌধ তৈরির দাবি করেন তিনি।   

Advertisement
Advertisement