This Article is From Jun 22, 2019

সময়সীমার মধ্যেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা মনে করাল ভারত

আন্তর্জাতিক সংগঠন এফএটিএফের কড়া বার্তার পর ফের একবার পাকিস্তানকে সতর্ক হল ভারত

সময়সীমার মধ্যেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা মনে করাল ভারত

সে দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্থসাহায্য বন্ধ করবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ভারতের তরফে।

নিউ দিল্লি:

আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স'-এর (FATF) চরম হুঁশিয়ারির পর এবার পাকিস্তানকে (Pakistan) সন্ত্রাসবাদ দমনে  ফের একবার কড়া বার্তা দিল ভারত (India) । সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ এবার আস্থা ও যাচাইযো্গ্য স্থায়ী সমাধানের পথেই হাঁটবে বলে আশা করছে ভারত। পাশাপাশি দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অর্থসাহায্য বন্ধ করবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ভারতের তরফে। গত শুক্রবারই ইসলামাবাদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স'(FATF)  বলেছে, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারা ঘোষিত জঙ্গি তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে যাবতীয় অর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। আর এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করা হলে পাকিস্তানের পরিণতি ভাল হবে না।

“সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো বন্ধ করুন অক্টোবরের মধ্যে, নাহলে...” আন্তর্জাতিক সংস্থার সর্তকবার্তা পাকিস্তানকে

ইসলামাবাদকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে কড়া বার্তা দেয় এফএটিএফ (FATF) । ভারত দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা দাবি জানাচ্ছে এফএটিএফ-এর কাছে।এই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারের দাবি,এফএটিএফ যে এই প্রথম জঙ্গি দমনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিল, তা নয়। এর আগেও ইসলামাবাদের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি ও মে মাসে, দু'বার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইসলামাবাদ ওই দু'টি সময়সীমার মধ্যেও জঙ্গিদের অর্থসাহায্য বন্ধ করতে পারেনি।

চুক্তি নিয়ে আলোচনা ছাড়া পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে ভারতের অন্তর্ভুক্তি খারিজ করল চিন

“আমরা আশা করছি এফএটিএফ- এর (FATF)  নির্দেশ মেনে ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদ দমনে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান।আর এ ব্যাপারে ইসলামাবাদের পদক্ষেপ যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়। নিরপেক্ষ ভাবে কেউ তা খতিয়ে দেখতে চাইলে যেন হতাশ না হতে হয়। সেই পদক্ষেপ যেন চোখে পড়ার মতো হয়। আর তা শুরুর পরেই যেন থমকে না যায়। ফের যেন সেই অর্থসাহায্য শুরু না হয়।'' শনিবার এ কথা বলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার (Raveesh Kumar )।

সব সমস্যার সমাধানে আলোচনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি ইমরান খানের: রিপোর্ট

ফ্লোরিডাতে এক বৈঠকের শেষে পাকিস্তানকে ওই হুঁশিয়ারি দেয় ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স'(FATF)। এর আগে ধূসর তালিকাভুক্ত করার সময় যে ২৭টি বন্দোবস্ত বেঁধে দিয়েছিল এফএটিএফ, তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরের অক্টোবরে। ফলে নতুন একটি বিবৃতিতে এফএটিএফ পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছে, এই অক্টোবরের মধ্যেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত পদক্ষেপ করতেই হবে। না হলে গাফিলতির দায়ে পাকিস্তানকে (Pakistan) কালো তালিকাভুক্ত করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। কেন এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তার ব্যাখ্যাও চেয়েছে এফএটিএফ।

মাসুদ এখন গ্লোবাল টেররিস্ট,''মার্কিন কূটনীতির জয়'' দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের

‘সন্ত্রাসের মদতদাতা' বলে এমনিতেই সারা বিশ্বে পাকিস্তানের(Pakistan) উপরে আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপ রয়েছে। ২০১৮ থেকেই সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সাহায্য যোগানো ও আর্থিক প্রতারণার বিরুদ্ধে যে দেশগুলি রয়েছে তাঁদের কাছে ইতিমধ্যেই ধূসর তালিকাভুক্ত রয়েছে পাকিস্তান।

এফএটিএফ-এর সদস্য দেশগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed), মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) মতো রাষ্ট্রসংঘ নির্ধারিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান এখনও কোনও মামলা দায়ের করেনি। পাকিস্তান যদিও দাবি করে লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া, জইশ-ই-মহম্মদ, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত-এর মতো জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ৭০০টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু ভারত (India)-সহ এফএটিএফ-র অন্য সদস্য দেশগুলির বক্তব্য, পাকিস্তানের(Pakistan) এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই, স্বপক্ষে প্রমাণও নেই। জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা, জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ।

তবে এভাবেই যদি ওই দেশগুলির কাছে ধূসর তালিকাভুক্ত  থাকে পাকিস্তান (Pakistan)  তবে ভবিষ্যতে ইন্টারন্যাশনাল মানিটরি ফান্ড (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাঙ্ক(World Bank), এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (Asian Development Bank) মতো সংস্থার কাছ থেকে ইসলামাবাদের আর্থিক সাহায্য পাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা। এর ফলে এমনিতেই ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়া পাকিস্তান (Pakistan)  যে আর্থিক ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবে এবং ঋণভারে জর্জরিত হয়ে পড়া দেশটি মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

(With inputs from PTI)

.