This Article is From Dec 25, 2019

“ভারতের ব্যাপক মন্দা”, NDTV এর প্রণয় রায়কে বললেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের জিডিপি, ২০১৯-২০ এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কমে ৪.৫ শতাংশ, ২০১৮-১৯ প্রথম ত্রৈমাসিকে এটা ছিল ৮ শতাংশ

NDTV-এর ডঃ প্রণয় রায়ের সঙ্গে কথা বললেন প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা

নয়াদিল্লি:

দেশ আজ যা ভোগ করছে, তা “কোনও স্বাভাবিক অর্থনৈতিক মন্দা নয়”, NDTV এর প্রণয় রায়কে এমনই বললেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম (Arvind Subramanian) । এর আগে চলতি বছরেই তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১১ থেকে ২০১৬ –মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি (GDP Growth) ২.৫ শতাংশ অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা হয়েছিল, পাশাপাশি জিডিপিকেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান বার্তাবাহী মনে না করার ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন এখন বিশ্বেই গ্রহণীয় হয়েছে যে, জিডিপির সংখ্যা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে প্রয়োজন”। বিশদে বলে গেলে, ঘন্টাখানেকের সাক্ষাৎকারে অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম প্রস্তাব দেন, আমদানি (তেল ছাড়া) এবং রফতানির হার (৬ শতাংশ এবং ১ শতাংশ কমেছে), অভোগ্য পণ্য শিল্প (১০ শতাংশ কমেছে) এবং ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের হার (দুবছর আগের ৫ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১ শতাংশ) বরং বেশী বার্তাবাহী হতে পারে।

তিনি বলেন, “...রফতানির তথ্যও রয়েছে, ভোগ্যপণ্যের তথ্য, কর থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের তথ্য...যা আমরা করি (ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির অনুমানের ওপর তাঁর লেখা তুলে ধরে), সেটা হল সমস্ত তথ্য নিই, এবং পরে ২০০০-২০০২ সালের মন্দার পরিস্থিতি দেখি-যেটা আপনি দেখতে পাবেন, সেটা হল, যদি জিডিপ বৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশ হয়, তাহলে জানতে হবে সমস্ত ইঙ্গিত ইতিবাচক”, পাশাপাশি এও বলেন,এই ইঙ্গিতবাহীগুলি হয় নেতিবাচক নাহলে নূন্যতম ইতিবাচক।

তিনি বলেন, “...এটা স্বাভাবিক মন্দা নয়...এটা ভারতের বিরাট মন্দা”।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের জিডিপি পরপর সাতটি ত্রৈমাসিকে ক্রমশই কমেছে, ২০১৯-২০ এর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কমে ৪.৫ শতাংশ, ২০১৮-১৯ প্রথম ত্রৈমাসিকে এটা ছিল ৮ শতাংশ।

অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম বলেন, “...হয় সেগুলি নেতিবাচক বৃদ্ধি হয়েছে অথবা নূন্যতম ইতিবাচক বৃদ্ধির আওতায় রয়েছে...তুলনাটা অর্থনীতির মূল ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে...বৃদ্ধি, বিনিয়োগ, রফতানি, এবং আমদানি...যার ওপর কর্মসংস্থান নির্ভর করে। এটাও নির্ভর করে যে, রাজস্বের কতটা অংশ সরকার সামাজিক প্রকল্পে খরচ করবে”, তিনি এও বলেন, “অর্থনীতির মূল ক্ষেত্রগুলি মন্দায়...চাকরি, আপনি জানেন, মানুষের আয়, মানুষের বেতন এবং সরকারের রাজস্ব”।

0qprplrk

২০১৫-এর জিডিপি তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলে অরবিন্দ সুব্রহ্ণণ্যম, সেই সময় সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি

জুলাইয়ে অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম উল্লেখ করেন, সমস্ত বার্তাবাহীগুলির, যারজন্য বৃদ্ধির হার ভেঙে পড়েছে., এবং বলেন, “এই সমস্ত বড় ধাক্কার আর্থির বৃদ্ধি খুব সামান্য কমে, ৭.৭ থেকে ৬.৯ শতাংশ। এই পরিস্থিতি একটি প্রশ্ন তুলে দেয়, এটা কি সত্যিই সম্ভব যে, এই পাঁচটি বিরূপ ধাক্কার জিডিপির ওপর সামান্য প্রভাব রয়েছে”?

গত বছর, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানায়, মে মাসে সমীক্ষা করা মানুষের ৪৮ শতাংশই মনে করেন, অর্থনীতির স্বাভাবিক পরিস্থিতি গত ১২ মাসে সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।

.