সপ্তাহখানেক আগে গত শনিবার আগুন লাগে ক্যানিং স্ট্রিটের বাগরি মার্কেটে।
হাইলাইটস
- অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে দাবি পার্থর
- ঘটনার দায় ব্যবসায়ীদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন তিনি
- সকালে বাজারে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা
কলকাতা: বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নবান্নে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার পার্থ জানান, আমরা বুঝতে পারি না কেন শুধু শনিবার বা রবিবারই আগুন লাগে। এ ধরনের ঘটনা সোমবার কেন হয় না? এদিকটা আমাদের বিবেচনা করা উচিত। এর পাশাপাশি ঘটনার দায় ব্যবসায়ীদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার দিকটি সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন - এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে এদিন সকালে পুড়ে যাওয়া বাজারে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, আগুন এত বড় কারণ কী করে ধারন করল সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সপ্তাহখানেক আগে গত শনিবার আগুন লাগে ক্যানিং স্ট্রিটের বাগরি মার্কেটে। ধীরে ধীরে প্রায় গোটা বাড়িটা চলে যায় আগুনের গ্রাসে। রাতেই পৌঁছে যায় দমকলের তিরিশটি ইঞ্জিন। এরপর রবিবারও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হয়। কিন্ত নেভার বদলে ক্রমশ বড় আকার নিতে থাকে আগুন। সর্বস্ব দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। দমকলের কাজে অখুশি ব্যবসায়ীরা সেনা বাহিনীকে ডাকার দাবি তোলেন। কিন্তু প্রশাসনের মনে হয় আগুন নেভাতে পারবে দমকলই। সেভাবেই কাজ এগোতে থাকে। কিন্তু সেদিনও নেভেনি আগুন। তারপর আরও দুদিন কাজ করে দমকল বাহিনী। শেষমেশ বুধবার দুপুরে আগুন মুক্ত হয় মার্কেট। এদিকে এই ঘটনার জন্য ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছেন দমকল মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাছাড়া মার্কেটের মালিকও কর্তাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে এফআইআরও দায়ের হয়েছে। প্রশাসনের দাবি অগ্নিবিধি সম্পর্কে পুরোপুরি উদাসীন ছিলেন মার্কেটের মালিক। শৌচাগার থেকে শুরু করে সিঁড়ি পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তাই এতবড় বিপর্যয় এড়ানো যায়নি কোনও ভাবে। এবার আগুনের নেপথ্যে চক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়