தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 28, 2020

নিট-জেইই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে আবেদন ছয় রাজ্যের

জিএসটি খাতে রাজ্যগুলোর বরাদ্দবৃদ্ধি ও নিট-জেইই স্থগিত রাখতে রণকৌশল তৈরি। এই দুই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল বিরোধী জোটের এই বৈঠকে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সেপ্টেম্বরে এই দুটি প্রবেশিকা পরীক্ষা আয়োজনের সূচি রয়েছে। (ফাইল ছবি)

নয়াদিল্লি :

নিট-জেইই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে ফের শীর্ষ আদালতে ছয়টি রাজ্য। দেশের অ-বিজেপি ছয়টি রাজ্যের মন্ত্রিসভার একজন করে সদস্য এই আবেদন করেছেন। এই ছয়টি রাজ্য হলো বাংলা, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়। ১৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছিল, "কেরিয়ার নিয়ে ছেলেখেলা করা যায় না। করোনা আগামি একবছর চলতে পারে। এই একবছরও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে? জীবন থেমে থাকতে পারে না। তাই সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।" এই রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে শুক্রবার ফের সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেছে ওই ছয়টি অঙ্গ রাজ্য। এদিকে, চলতি সপ্তাহেই অবিজেপি দলগুলোকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন সনিয়া গান্ধি। জিএসটি খাতে রাজ্যগুলোর বরাদ্দবৃদ্ধি ও নিট-জেইই স্থগিত রাখতে রণকৌশল তৈরি। এই দুই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল বিরোধী জোটের এই বৈঠকে। তারপর এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই দরবার তাৎপর্যপূর্ণ। সূূূূচি মেনে সেপ্টেম্বরের ১-৬ জেইই হবে আর ১৩  সেপ্টেম্বর হবে নিট।

এদিকে, সেই ছয় রাজ্যের মন্ত্রিসভার যে সদস্যরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন, তাঁরা হলেন, এ রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, ঝাড়খণ্ডের অর্থমন্ত্রী রাজেশ্বর ওরাওঁ, রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা, ছত্তিশগড়ের খাদ্যমন্ত্রী অমরজিত ভগৎ, পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং সিঁধু, মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী উদয় আর সামন্ত। 

অপরদিকে, চলতি বছরের মধ্যেই কলেজগুলোকে তাদের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে, শুক্রবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত একথাও বলেছে, করোনা সঙ্কটের কারণে রাজ্য চাইলে পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ইউজিসিকে অনুরোধ করতে পারে। আদালত জোর দিয়ে বলেছে যে, "রাজ্য কিছুতেই ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী বছরে উত্তীর্ণ করতে পারে না। মূল কথা হ'ল সব পরীক্ষার্থীকেই চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা দিতে হবে; রাজ্যগুলো কিছুদিন তা স্থগিত রাখতে পারে তবে তা সম্পূর্ণ রূপে বাতিল করতে পারে না।

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের যুব সেনা সহ একাধিক রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়েছিলো, কোভিড -১৯ এর কারণে পরীক্ষা বাতিল করা হোক। বর্তমান সংকটের কারণে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তাও উল্লেখ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে করা ওই আবেদনে। তাদের যুক্তি ছিলো যে ছাত্রছাত্রীরা পাঁচটি সেমিস্টারে যে নম্বর পেয়েছে তার একটি গড় করে চূড়ান্ত পরীক্ষা ছাড়াই ফল ঘোষণা করা হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে জানিয়েছে যে "অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নই যথেষ্ট নয়।"

Advertisement
Advertisement