তাঁর মতে দেশের আঞ্চলিক দলগুলির শক্তিক্ষয়ই সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিপক্ষের ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক হয়েছে।
কলকাতা: ‘গান্ধি-নেহেরু পরিবারের (Gandhi-Nehru family) ‘ব্র্যান্ড ইকুইটি' (brand equity) রয়েছে। এই পরিবারের বাইরের কারও পক্ষে কংগ্রেসকে (Congress) নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা নেই।' সনিয়া গান্ধির (Sonia Gandhi) দলের অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপাটি স্পষ্ট করলেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর মতে দেশের আঞ্চলিক দলগুলির শক্তিক্ষয়ই সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিপক্ষের ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ মেরুকরণের রাজনীতির দিকে মোড় নিচ্ছে। কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। দেশজুড়ে ঘটছে সাম্প্রদায়িক নানা ঘটনা। যাকে রুখতে পারে একমাত্র কংগ্রেস। মনে করেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের মতাদর্শ ও সারা ভারতব্যাপী উপস্থিতি দেশে সাম্প্রদায়িকতার উত্থানকে রোদ করতে সক্ষম।'
চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইয়ের ডাক, পৌঁছলেন পার্থ ও রাজীব
দেশব্যাপী মেরুকরণের রাজনীতির ফলেই ফের দেশ শাসন করবে হাত শিবির। আশা বহরমপুরের পাঁচবারের সাংসদের। তাঁর কথায়, ‘আঞ্চলিক দলগুলো ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। তার মানে আগামী দিনে মেরুকরণের ভোট হবে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতায় ফিরবে দল। তাই কংগ্রেসের (Congress) ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল।' সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর হারের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন রাহুল গান্ধি (RahulGandhi)। মনে করা হচ্ছিল রাহুলের পছন্দ মতো গান্ধি পরিবারের বাইরে কেই দলের হাল ধরবেন। কিন্তু তা হয়নি। দলের অন্তবর্তীকালীন প্রধান হয়েছেন সনিয়া গান্ধিই। কেন এই পরিণতি? কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরির উত্তর, ‘অ-গান্ধি পরিবারের কেউ দলের দায়িত্ব নিলে চালানো মুশকিল হত। কারণ, রাজনীতিতেও ব্র্যান্ড ইকুইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাই বাস্তব।' তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহ-এর (Amit Shah) নেতৃত্ব ছাড়াও বিজেপি (BJP) ভালোভাবে চলবে না।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এরপর বাংলার বহরমপুর থেকে নির্বাচিত সাংসদ বলেন, ‘দলের খারাপ সময়ে এর আগে দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধি। তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির নেতাদের আবেদন মেনে উনি তা গ্রহণ করেছেন।' তবে, সভাপতি খোঁজার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে বলে মত তাঁর।
অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) মনে করেন লোকসভা ভোটে হার হত না যদি রাহুল গান্ধিকে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লড়া যেত। দলের খারাপ সময়ে কি পদত্যাগ করে পিছিয়ে গেলেন রাহুল গান্ধি? কংগ্রেস নেতা অধীর মনে করেন, ‘একেবারেই না, পরাজয়ের দায় স্বীকার করে পদ ছাড়া মানে ভয় পিছিয়ে যাওয়া নয়। তাঁর পথ অনুসরণযোগ্য।' রাহুলের দেখানো পথেই দল পরিচালনায় নবীন-প্রবীণের মিশ্রন ঘটানো হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যটি দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ হচ্ছে। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধী কংগ্রেস। লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীরের কথায়, ‘এটা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি।' যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতজানিযেছেন বেশ কয়েকজন প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়েছিল হাত শিবিরের। এপ্রসঙ্গে অধীর বলেন, ‘দলের মধ্যে দ্রুত এই ইস্যুতে আলোচনা না হওয়ায় বিভ্রান্তি ছিল।'
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)