নেপাল কংগ্রেস বলেছে সংশোধনের পক্ষে তারা ভোট দেবে।
হাইলাইটস
- ইন্দো-নেপাল সীমান্তের বিতর্কিত ভূখণ্ড মানচিত্রে ঢোকাতে তৎপর নেপাল
- সংসদে আনা হয়েছে সংশোধনী বিল। সমর্থনের ইঙ্গিত নেপাল কংগ্রেসের
- যদিও এই উদ্যোগের সমালোচনায় সরব ভারত
নয়া দিল্লি: ইন্দো-নেপাল সীমান্তের বিতর্কিত ভূখণ্ডকে (Indian Territory) মানচিত্রে স্থান দিতে সংশোধনী আনল নেপাল সরকার। সে দেশের বিরোধী দল নেপাল কংগ্রেস দাবি করেছে, সেই সংশোধনী বিলের (Amendment in Nepal Map) পক্ষেই ভোটাভুটি করবেন তারা। যদিও নেপালের (Nepal) এই আচরণে ক্ষুব্ধ ভারত। কারণ ওই ভূখণ্ড ভারতের বলে বহুদিন ধরে দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তারা। তাও পিছু হটতে নারাজ কাঠমাণ্ডু। জানা গিয়েছে, নেপাল সংসদে কোনও সংশোধনী পাস করতে এক মাস সময় লাগে। কিন্তু মানুষের কথা ভেবে একাধিক বিকল্প পথে হেঁটে সেই বিল পাস করাতে চাইছে নেপালের বামপন্থী সরকার। যেহেতু বিরোধী দল এই বিলকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে, তাই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই গৃহীত হবে এই সংশোধনী। এমনটাই দাবি সংবিধান বিশেষজ্ঞদের।
Unlock1: পঞ্চম দফার লকডাউনেও কী কী খুলছে না দেখে নিন তালিকা
ইতিমধ্যে, নেপালের এই উদ্যোগকে একপাক্ষিক ও বাস্তববর্জিত বলে সুর চড়িয়েছে নয়া দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, "কৃত্রিম ভাবে এই ভূখণ্ডের দাবি ভারত খারিজ করছে। নেপাল সীমান্ত কূটনীতি প্রশ্নে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই ভারতের আবেদন সীমান্তকে অবিচ্ছেদ্য রাখতে ও দ্বিপাক্ষিক সার্বভৌমত্ব বজায়ে উদ্যোগী হোক নেপাল।"
এদিকে, নেপালের নতুন ম্যাপ নিয়ে নয়াদিল্লি ও কাঠমাণ্ডুর মধ্যে কূটনৈতিক ঠাণ্ডা লড়াই তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আবারও লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ, এবং কালাপানির দাবি তুললেন। সেখানকার সরকার এই বিতর্কিত এলাকাগুলিকে নিজেদের ম্যাপে ঢুকিয়েছে। নেপালের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে কেপি শর্মা ওলি বলেন, ভূখণ্ড ফিরে পেতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হবে। তাঁর কথায়, “সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, আমি লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ, এবং কালাপানির বিষয়টিকে স্বীকার করি এগুলি চাপা দেওয়া হবে না, এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কূটনৈতিক আলোচনা ও প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ বের করা হবে এবং ভূ-খণ্ডের দাবি তোলা হবে”।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরে গরমের দাপটে অসুস্থ পরিযায়ী পাখি
সম্প্রতি নতুন ম্যাপ অনুমোদন করেছে নেপালের মন্ত্রিসভা। সেখানে লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ., এবং কালাপানিকে তাদের ম্যাপে অন্তভুর্ক্ত করে। নেপালের দাবি এই ভুখণ্ড তাদের ।
মন্ত্রিগোষ্ঠীর নতুন ম্যাপ বের করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে, কেপি শর্মা ওলি বলেন, নতুন ম্যাপের অংশ অধিগ্রহণ করতে সংবিধান সংশোধন করা হবে।
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১,৮০০ কিলোমিটারের খোলা সীমান্ত রয়েছে। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তির ওপর ভিত্তি করে লিপুলেখ পাসের দাবি তুলেছে নেপাল।