Read in English
This Article is From Jul 18, 2020

"ভগবান রাম আসলে নেপালি, অযোধ্যাও নেপালেই": নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি

“এই অযোধ্যা ভারতের অযোধ্যা নয়! এই অযোধ্যা বীরগঞ্জের একটি গ্রাম (নেপালের একটি জেলা যা রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত), বলেন প্রধানমন্ত্রী অলি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)

কেপি শর্মা অলি ভারতকে সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ও আগ্রাসনের জন্য অভিযুক্ত করেন

কাঠমাণ্ডু:

লক্ষ লক্ষ হিন্দুরা ভগবান রামের জন্মস্থান বলে যে প্রাচীন শহর অযোধ্যাকে বিশ্বাস করেন তা আসলে কাঠমাণ্ডুর কাছে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম! সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। শুধু তাই নয়, পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন যে ভগবান রাম আসলে নেপালি ছিলেন। নিজের বাসভবনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কেপি শর্মা অলি ভারতকে সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ও আগ্রাসনের জন্য অভিযুক্ত করেন এবং বলেন যে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নেপালের অবদানের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

“আমরা এখনও বিশ্বাস করি যে আমরা সীতাকে রাজকুমার রামকে দিয়েছিলাম তবে আমরা রাজপুত্রকেও দিয়েছি, অযোধ্যা থেকে। এই অযোধ্যা ভারতের অযোধ্যা নয়! এই অযোধ্যা বীরগঞ্জের একটি গ্রাম (নেপালের একটি জেলা যা রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত), বলেন প্রধানমন্ত্রী অলি।

নেপালের ডিজিটাল সংবাদপত্র, নেপালি নিউজ ওয়েবসাইট সেতোপাতি ডটকম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, “সংস্কৃতিগতভাবে আমরা কিছুটা নিপীড়িত হয়েছি। সত্যঘটনাগুলিকে দখল করে নেওয়া হয়েছে।" প্রধানমন্ত্রী অলি আরও বলেছেন: “সত্যিকারের অযোধ্যা নেপালে, ভারতে নয়। ভগবান রামও নেপালি, ভারতীয় নন।”

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের অযোধ্যা শহর।

Advertisement

দু'দেশের মধ্যে সংশোধিত রাজনৈতিক মানচিত্রকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। নেপাল ভারতের ভূখণ্ড দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস এবং লিম্পিয়াধুরা ও কালাপানি অঞ্চল।

গত মাসে নেপাল সংসদ এই জমিগুলির দাবি জানাতে দেশের মানচিত্র আপডেট করার জন্য একটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করার জন্য সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। কয়েক দিন পরেই জাতীয় সংসদ বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে পাসও করে।

Advertisement

এই এলাকাগুলি চিনের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তে অত্যন্ত কৌশলগত অঞ্চল এবং ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে এই এলাকাগুলি পাহারা দিচ্ছে ভারত।

গত বছর সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের পথ সাফ করেছে

ভারত এই ভূখণ্ডের দাবির প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, “কৃত্রিম সম্প্রসারণ”টিকে অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

“নেপাল এই বিষয়ে ভারতের ধারাবাহিক অবস্থান সম্পর্কে ভাল করেই অবহিত এবং আমরা নেপাল সরকারকে ভ্রান্ত কার্টোগ্রাফিক বদল থেকে বিরত থাকতে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানাতে অনুরোধ করি,” বলেছে কেন্দ্র সরকার।

Advertisement