Subhash Chandra Bose: উড়িষ্যার কটকে ১৮৯৭ সালের ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজি জন্ম গ্রহণ করেন।
হাইলাইটস
- ১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি নেতাজির জন্ম হয়
- নেতাজি বলেছিলেন, "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো"
- তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
নিউ দিল্লি: তাঁর এক ডাকে সাড়া দিয়ে পরাধীনতার আঁধারটি থেকে স্বাধীন আলোটিকে উদ্দেশ্য করে হাঁটার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল কোটি কোটি ভারতবাসী। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি কটকে জন্ম হয়েছিল তাঁর। আজ বয়স হল ১২২ বছর। কিন্তু, যে কথাটি অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য, তা হল, সুভাষ চন্দ্র বসু যে একদিন ‘নেতাজি' হয়ে উঠবেন, বা, বলা যেতে পারে, যে বছরটি থেকে একটি অনিবার্য বাঁক তৈরি হল তাঁর জীবনে, যে বাঁকটি না থাকলে তিনি কোনওদিনই ‘নেতাজি' হয়ে উঠতে পারতেন না, সেটির বয়সও এই বছর আটানব্বই পূর্ণ করল। সালটি ১৯২১। রবীন্দ্রনাথের ৬০ বছর বয়স। সুকুমার রায়ের ছেলে ও উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর নাতির জন্ম হল। সেই বছরেই সুভাষচন্দ্র পরিপূর্ণভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করবেন। তারপর তিনি গঠন করলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ। এই তথ্যগুলি প্রায় সকলেই জানেন। বরং নেতাজির জীবনের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ট্রিভিয়া নিয়ে একটু ছানবিন করা যাক।
তাঁর মৃত্যু নিয়ে এক শ্রেণীর ভারতবাসীর সংশয় এখনও গেল না। এই বছরে ভাবা হয়তো বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে, তবে, অন্তত ২৫-৩০ বছর আগেও বহু মানুষ বছর শুরুর মুখে অত্যন্ত কনফিডেন্টলি ভেবে নিত, আর কিছু হোক না হোক, নেতাজি এই বছর ফিরে আসবেনই! আর এমনই একটি ভাবনা থেকে জন্ম নিল ‘গুমনামী বাবা'। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু স্থানে অজ্ঞাতপরিচয় সাধুর বেশে জীবন কাটিয়েছিলেন নেতাজি। এমনটাও কেউ কেউ ভাবেন। অনুজ ধরের বই আছে- ‘হোয়াট হ্যাপেনড টু নেতাজি?', যেখানে তাঁর অতি রহস্যময় মৃত্যুটি নিয়ে কাটাছেঁড়া করে দেখানো হয়েছিল, নেতাজির মৃত্যুরহস্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকা একটি অতি গোপনীয় ফাইলে চাপা রয়েছে। ১৫ বছর ধরে নেতাজিকে গবেষণা করে লেখক এমন সিদ্ধান্তেও উপনীত হয়েছিলেন যে, ফৈজাবাদ নিবাসী সাধু ভগবানজী আসলে ছদ্মবেশী নেতাজিই। সেই কারণে সরকার তাঁর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলত।
![u4mejdko](data:image/svg+xml;base64,PD94bWwgdmVyc2lvbj0iMS4wIiBlbmNvZGluZz0idXRmLTgiPz4KPCEtLSBHZW5lcmF0b3I6IEFkb2JlIElsbHVzdHJhdG9yIDI0LjMuMCwgU1ZHIEV4cG9ydCBQbHVnLUluIC4gU1ZHIFZlcnNpb246IDYuMDAgQnVpbGQgMCkgIC0tPgo8c3ZnIHZlcnNpb249IjEuMSIgaWQ9IkxheWVyXzEiIHhtbG5zPSJodHRwOi8vd3d3LnczLm9yZy8yMDAwL3N2ZyIgeG1sbnM6eGxpbms9Imh0dHA6Ly93d3cudzMub3JnLzE5OTkveGxpbmsiIHg9IjBweCIgeT0iMHB4IgoJIHZpZXdCb3g9IjAgMCAxNDAgMTA2IiBzdHlsZT0iZW5hYmxlLWJhY2tncm91bmQ6bmV3IDAgMCAxNDAgMTA2OyIgeG1sOnNwYWNlPSJwcmVzZXJ2ZSI+CjxzdHlsZSB0eXBlPSJ0ZXh0L2NzcyI+Cgkuc3Qwe29wYWNpdHk6Ny4wMDAwMDBlLTAyO2ZpbGw6I0YxRjNGNzt9Cgkuc3Qxe29wYWNpdHk6MC4zNDtmaWxsOiNBRkFGQUY7ZW5hYmxlLWJhY2tncm91bmQ6bmV3ICAgIDt9Cjwvc3R5bGU+CjxyZWN0IGNsYXNzPSJzdDAiIHdpZHRoPSIxNDAiIGhlaWdodD0iMTA2Ii8+CjxkZXNjPkNyZWF0ZWQgd2l0aCBTa2V0Y2guPC9kZXNjPgo8cGF0aCBjbGFzcz0ic3QxIiBkPSJNMTAzLjcsNDYuMkw5OC4zLDU3bC01LjktMTAuN0g2My41aC0wLjRoLTguOXY0LjZjMS4yLDAuMywyLDEuNCwyLDIuNmMwLDEuMi0wLjksMi4yLTIsMi42djQuNmg4LjlsMCwwaDMKCWM0LjMsMCw2LjMtMi41LDYuMy02LjZ2LTEuNWMwLTAuNCwwLTEuNi0wLjMtMi44aDYuOHYxMWg0LjN2LTExaDYuMWw2LjEsMTFoNS41bDcuNy0xNC40SDEwMy43eiBNNjgsNTVjMCwxLjQtMC44LDIuMi0yLjYsMi4yaC0yCgloLTAuNGgtNC41di03LjZoNC45bDAsMGgyYzEuNywwLDIuNiwwLjksMi42LDIuMlY1NXoiLz4KPHBhdGggY2xhc3M9InN0MSIgZD0iTTUwLjgsNTMuNGMwLTEuMiwwLjktMi4zLDItMi42di00LjVoLTQuNXYxMC4yaC0wLjJjLTAuOSwwLTEuNS0xLTEuOC0xLjRsLTIuNS01Yy0xLjItMi40LTMuMi0zLjgtNS42LTMuOAoJaC00Ljd2MTQuNGg0LjZWNTAuNGgwLjJjMSwwLDEuNiwxLjEsMS44LDEuNGwyLjYsNWMxLjEsMi40LDMuMiwzLjgsNS41LDMuOGg0LjdWNTZDNTEuNiw1NS43LDUwLjgsNTQuNyw1MC44LDUzLjR6Ii8+Cjwvc3ZnPgo=)
হিটলারের সঙ্গে সুভাষ চন্দ্র বোস।
কুইজে এক সময় প্রশ্ন আসত, দুনিয়া কাঁপানো কোন তৎকালীন বিখ্যাত নেতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু? উত্তরটা হল অ্যাডল্ফ হিটলার। নেতাজি হিটলারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতায় সাহায্যের জন্য। যদিও হিটলার তাঁকে স্পষ্টভাবে কিছু না কথা দেওয়ায় সেই সম্পর্ক আর তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। তা গড়ে উঠলে ইতিহাস আরও কতটা রক্তাক্ষয়ী অথবা সুগম হতে পারত, সেই বিচার করার দায়িত্ব অবশ্য গবেষকদের।
এক লক্ষ টাকার নোট যেখানে নেতাজির ছবি ছাপা হয়েছিল।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায়-অজানা তথ্য হল, আজাদ হিন্দ সরকারের নিজস্ব ব্যাঙ্ক ছিল। ১৯৪৩ সালে ব্যাঙ্কটি তৈরি হয়। সারা দেশ থেকেই ব্যাঙ্কটি তৈরির জন্য সমর্থন এসেছিল। আজাদ হিন্দ ব্যাঙ্কে দশ টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নোট ছাপানো হত। এক লক্ষ টাকার নোটে ছিল সুভাষ বোসের মুখ।
তবে, নেতাজি সম্বন্ধে প্রথম এবং শেষতক যে রহস্যটি থেকে যায়, তা হল, মৃত্যু। তিনি মারা গিয়েছেন, এ কথাটি তো কারও বোধের অগম্য নয়। তবে, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল কি না, তার উত্তরটি ‘রাত কত হইল'র মতোই…নেই!
Click for more
trending news