This Article is From Apr 15, 2020

আর্থিক সঙ্কটে খাবার জোগানে টান! ক্ষুধার্ত পশু-নিধনে উদ্যোগ নিল জার্মানির চিড়িয়াখানা

যদিও এই উদ্যোগের নিন্দায় সরব নেটিজেনরা। "অত্যন্ত অমানবিক ও অবিবেচকের মতো কাজ", মন্তব্য নেটিজেনদের। অনেকে আবার খবরটা শুনে বেশ মর্মাহত

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

নিউমুনস্টার জু-এর শেয়ার করা ফেসবুক পোস্ট।

শেষ আর্থিক সম্বলটুকু উজাড় হলে এবার প্রাণী মেরে অন্য প্রাণীদের খাওয়ান হবে। সম্প্রতি এমন উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানির (A German Zoo) একটা চিড়িয়াখানা। লকডাউনের (Lockdown) জেরে প্রভাবিত ব্যবসা। তাই অর্থ-সঙ্কটে চিড়িয়াখানার জীব -জন্তুদের খাদ্যের জোগানে টান পড়েছে। বিশেষ অসুবিধার মধ্যে মাংসাশী প্রাণীরা। তাই একটা তালিকা তৈরি করেছে সে দেশের নিউমুনস্টার চিড়িয়াখানা। খাদ্য সরবারহে টান পড়লে সেই তালিকাভুক্ত প্রাণীদের মেরে অন্যদের খিদে মেটান হবে। এমনটাই জানান সেই জু-এর অধিকর্তা ভেরেনা কাসপারি। বিবিসি সুত্রে খবর, অনুদানের আবেদন করেছে সেই চিড়িয়াখানা। জানা গিয়েছে ইস্টারের (Easter) মরশুমে এই চিড়িয়াখানায় রেকর্ড জনপ্লাবন হয়। কিন্তু এ বছর বদলেছে সেই চিত্র। লকডাউনের জেরে মন্দা ব্যবসায়, নেই দর্শকদের হট্টগোল। 

এদিকে চিড়িয়াখানার অধিকর্তা ভেরেনার দাবি, "পশু-নিধন অত্যন্ত অমানবিক। কিছু একান্ত উপায় না থাকলে আমাদের সেই পথে হাটতে হবে। প্রতিদিন খাদ্যের জোগান বেশ ব্যয়সাধ্য। বিশেষ করে সিল আর পেঙ্গুইন, এদের প্রতিদিন মাছ চাই। তাই ক্ষুধাঁর্ত রাখার চেয়ে আমরা মনে করি এদের মেরে ফেলা ভালো। কিংবা আরও খারাপ পরিস্থিতি হলে এক প্রাণীকে মেরে, অন্য প্রাণীকে খাইয়ে দেওয়া বেশি লাভজনক।" 

যদিও এই উদ্যোগের নিন্দায় সরব নেটিজেনরা। "অত্যন্ত অমানবিক ও অবিবেচকের মতো কাজ", মন্তব্য নেটিজেনদের। অনেকে আবার খবরটা শুনে বেশ মর্মাহত। 

Advertisement
Advertisement