This Article is From Mar 31, 2020

'গেন্দাফুল' বিতর্ক: ‘আজ কেন? কোনোদিনই স্বীকৃতি পাইনি’: রতন কাহার

‘শুধু আজ কেন! কোনোদিনই এই গানের রচয়িতা হিসেবে স্বীকৃতি পাইনি। ভুলেও আমার কথা কেউ বলেনি। আমাকে চেনেই বা কে আর চেনার চেষ্টাই বা করেছে কে?’

Advertisement
বিনোদন Edited by (with inputs from PTI)

আর কতবার অপমৃত্যু হবে একজন শিল্পীর?

কলকাতা:

একজন শিল্পীর কাছে, একজন গীতিকারের কাছে মৃত্যুও এর চেয়ে বোধহয় শ্রেয়। করোনা লকডাউনে বাঙালির নিত্য বিনোদন পাঞ্জাবি রাপার বাদশার (Rapper Badshah) নয়া রাপ 'গেন্দা ফুল' (Genda Phool)। বাদশার বাদশাহি রাপ আর বলিউডের জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের হাস্য-লাস্যে এই প্রজন্ম বেমালুম ভুলেছে 'বড়লোকের বিটি লো' লোকগানের জন্মদাতা রতন কাহারকে (Ratan Kahar)। শিল্পীর এই অপমৃত্যুতে শোক পেয়েছেন আগের প্রজন্মের বহু গানপ্রেমী। তাঁদের দাবি, বঙ্গকে ধার করেই সমৃদ্ধ পাঞ্জাবি রাপারের এই গান। কিন্তু কোথাও রতন কাহারকে বা তাঁর নাম স্মরণ করা হয়নি!

বঙ্গে বাদশা 'বড়লোক', সবাই ভুলেছেন 'বড়লোকের বিটি লো'-র জনক রতন কাহারকে

বিতর্ক, ক্ষোভ---যা-ই বলুন, দানা বেঁধেছে গানটি সামনে আসার পর থেকেই। গানের নবজন্মের হাত ধরে ফিরে এসেছে তার পূর্বজন্ম, অতীত স্মৃতিও। রতন কাহার দূরঅস্ত, গানের শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তীর নামই কোথাও উচ্চারিত হয়নি। উচ্চারিত হয়নি দোতারা বাদক পরিতোষ রায়ের কথাও। কিন্তু দোতারা বাজানোর ভঙ্গিটি অনায়াসে জায়গা করে নিয়েছে গানের দৃশ্যে! বিতর্ক ঝড় তোলার পরেই যোগাযোগের চেষ্টা করে হয়েছিল পাঞ্জাবি রাপারের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর মুঠোফোন পরিষেবার বাইরে!

Advertisement

  .  

এদিকে, বিতর্ক দানা বাঁধার বেশ কিছুদিন পরেও টুঁ শব্দ শোনা যায়নি রতন কাহারের মুখে। বাংলা এবং বাঙালি তাঁর হয়ে, তাঁকে ন্যায় পেতে গলা তুলেছে। রচয়িতা তবু নীরব। অবশেষে নীরবতার আগল ভেঙে সোচ্চার হলেন রাঙামাটির দেশ বীরভূমবাসী। এবং মুখ খুলতেই গানের বদলে ক্ষোভ ঝরল গলা দিয়ে। জানালেন, ‘শুধু আজ কেন! কোনোদিনই এই গানের রচয়িতা হিসেবে স্বীকৃতি পাইনি। আমার লেখা, আমার সুর এবং গাওয়া গান অনেকবার নতুন খোলস পড়েছে। ভুলেও আমার কথা কেউ বলেনি। আমাকে চেনেই বা কে? আর চেনার চেষ্টাই বা করেছে ক'জন?'

Advertisement

ঘরে বসেই বিনোদন! গান, বাজনায় অনুরাগীদের মন ভরাচ্ছেন কোন টলি তারকারা?

এখানেই থামেননি সত্তরোর্ধ্ব মানুষটি। বলেছেন, আজীবন বঞ্চিত তিনি। এই যন্ত্রণা কতখানি একমাত্র ভুক্তভোগীই বুঝবেন! এরপরেই প্রবীণ শিল্পীর আন্তরিক মিনতি, "আমার চারপাশে অনেক বিশিষ্ট লেখক এবং ভালো মানুষ আছেন। তাঁদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, এতদিন আপনারা মুখ খোলেননি। এবার মুখ খুলুন। প্রতিবাদ করুন। এভাবে একজন শিল্পীর জীবন্ত অন্ত্যেষ্টি দেখবেন না। ভালো গান নষ্ট হতে দেবেন না।

Advertisement

আর কতবার অপমৃত্যু হবে একজন শিল্পীর?"  

Advertisement

Advertisement



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement