Read in English
This Article is From Jan 02, 2020

বললেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হানায় প্রস্তুত: NDTV কে বললেন সেনাপ্রধান এমএম নারবানে

তারমধ্যে কি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বড় মাপের হানাও রয়েছে, এমএম নারবানে NDTV কে বলেন, “সেরকমই নির্দেশ আসা উচিত”

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan-Occupied Kashmir) নিয়ে “বিভিন্ন পরিকল্পনা” রয়েছে সেনাবাহিনীর, এবং “যে কোনও পদক্ষেপের” জন্য প্রস্তুত, এমনটাই জানালেন দেশের নয়া সেনাপ্রধান এমএম নারবানে (General MM Naravane) । NDTV কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, বাস্তবিকই একটা বড় লক্ষ্য বলতে যা বোঝায়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) সেই ধরণের কোনও পদক্ষেপ নিয়ে ভারত ভাবছে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারবানে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর সহ সমস্ত সীমান্তে আমাদের বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে এবং প্রয়োজনে, সেই পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত করা হতে পারে। আমাদের যে কাজই করতে দেওয়া হোক না কেন, তা আমরা সাফল্যের সঙ্গে করতে পারব”।

তারমধ্যে কি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বড় মাপের হানাও রয়েছে, এমএম নারবানে NDTV কে বলেন, “সেরকমই নির্দেশ আসা উচিত”।

“আমরা সবসময়েই অরাজনৈতিক থেকেছি, অরাজনৈতিকই থাকব”, NDTV কে বললেন সেনাপ্রধান

Advertisement

মঙ্গলবার দায়িত্ব নেওযার পর, পাকিস্তান এবং তাদের অনুমোদিত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, এই ধরণের পরিস্থিতিতে ভারতের “সন্ত্রাসবাদের উৎস্থলে এগিয়ে গিয়ে হানা দেওয়ার অধিকার রয়েছে”।

গত চার বছরে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুটি হামলা চালিয়েছে স্বশ্বস্ত্র বাহিনী।

Advertisement

২০১৬ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের উরির সেনা ছাউনিতে হামলার পর, নিয়ন্ত্রণ রেখায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে হানা দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

চিন সীমান্তের সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে বক্তব্য পেশ নতুন সেনাপ্রধানের

Advertisement

 ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মধ্যেই সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “আপনারা দেখতে পাবেন, তারা নিরুৎসাহী হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আসেন এবং পাকিস্তানীদের সীমান্তে যেতে নিষেধ করেন। এটা ভাল, কারণ, যদি তারা আসে, তারা আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারবে না। তারা আর ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ এর পুনরাবৃত্তি চাইবে না”।

এখন সেনাপ্রধান বললেন, কাজ হল “বহিরাক্রমণ বা অনুপ্রবেশ যাতে না হয়”। তাঁর কথায়, “আমাদের ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নজরদারি চালাতে হবে বিভিন্ন এলাকায়, এবং বিভিন্ন জলবায়ুর পরিস্থিতির সঙ্গে, এবং তারজন্য কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন”।

Advertisement