অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক সেরে অরুণ জেটলির কাছে যাবেন মোদী। (ফাইল)
নয়াদিল্লি: আগামিকাল রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং অন্যান্যরা মন্ত্রীরা। তার ঠিক আগে আজ, বুধবার সন্ধ্যায় মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah) প্রায় তিন ঘণ্টার একটি বৈঠকে বসেছেন। গত দু'দিনে এটি তাঁদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈঠক। এর আগে মঙ্গলবার পাঁচ ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য কারা হবেন, সেই নিয়েই দু'দিন ধরে আলোচনা করছেন তাঁরা। সূত্র থেকে NDTV জানতে পেরেছে, কাল সকালে মনোনীত মন্ত্রীদের নিজের বাড়িতে চা পানের আমন্ত্রণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সূত্র অনুসারে তারা জেনেছে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদী অরুণ জেটলির বাড়িতে যাবেন। জেটলি তাঁর আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকবেন নাকি সরকারে থাকবেন, তা জানতেই মোদী তাঁর বাড়িতে যাবেন।
নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণে আসছেন রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী
অরুণ জেটলি, যিনি এনডিএ-১-এ অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনি মোদীকে আগেই চিঠিতে জানিয়েছেন তাঁকে নতুন সরকারে কোনও দায়িত্বে না রাখতে। তিনি লেখেন— ‘‘আমি আপনাকে লিখতে চাই আমার নিজের জন্য, নিজের চিকিৎসার জন্য এবং নিজের স্বাস্থ্যের জন্য প্রশস্ত সময় দরকার। তাই অনুরোধ করছি নতুন সরকারে কোনও দায়িত্বে না রাখার জন্য।'' এই কথা কেবল চিঠিতেই নয়, টুইটেও লিখে জানান অরুণ জেটলি।
অরুণ জেটলি শর্করা রোগে আক্রান্ত। গত বছরের মে মাসে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতিই একমাত্র নির্বাচিত সাংসদদের মধ্যে যাঁরা মন্ত্রিসভায় যাচ্ছেন তাঁদের অবহিত করেছেন।
"নতুন মন্ত্রী সভায় কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি নন অরুণ জেটলি'' লিখিত আবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে
প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছিল, অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন। কিন্তু বিজেপির তরফে জানানো হয়, দল তার সাংগঠনিক স্তম্ভকে হারাতে রাজি নয়। রাজ্যের ভোটে জয়লাভ করতে ও রাজ্যসভায় তাঁদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সংগঠনকে শক্তিশালী রাখা দরকার বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব।
অধিকাংশ মন্ত্রীরাই তাঁদের পদে বহাল থাকবেন। তবে বাংলা থেকে মন্ত্রিসভায় সংযোজন হতে চলেছে। এবারের ভোটে বিজেপির অন্যতম সেরা চমক এই রাজ্যেই।
বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসবেন বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন বা বিআইএমএসটিইসি (BIMSTEC)-র বিশ্বনেতারা। এর অন্তর্গত দেশগুলি হল বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান।