Read in English
This Article is From Dec 13, 2019

নয়া নাগরিকত্ব আইন “মৌলিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট”, মত রাষ্ট্রসংঘের মানবধিকার কমিশনের

নয়া নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, পাশ্ববর্তী দেশ থেকে ভারতে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিপীড়িত মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব বিবেচনার পথ সহজ করে তুলবে

জেনেভা:

দেশের নয়া নাগরিকত্ব আইন (New Citizenship Amendment Act 2019)  নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) মানবধিকার কমিশন, এটিকে “প্রাথমিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট” বলে মন্তব্য করল তারা। নয়া নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবধিকার কমিশনের মুখপাত্র জেরিমি লওয়ারেন্স জেনিভায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন যে, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ মৌলিকভাবে স্বভাবতই পক্ষপাতদুষ্ট”। বলেন, “সংশোধিত আইন ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখ করা সাম্যতার প্রতিশ্রুতি এবং জাতিগত পক্ষপাতিত্ব লঙ্ঘন করতে পারে নয়া আইন, যেখানে ভারক একটি রাষ্ট্র যেখানে জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মীয় ভিত্তিতে পক্ষপাত নিষেধ”।

Protest Over Citizenship Act: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে অঞ্চলে আগুন লাগাল বিক্ষোভকারীরা

নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, পাশ্ববর্তী দেশ থেকে ভারতে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিপীড়িত মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব বিবেচনার পথ সহজ করে তুলবে। তারা আরও জানিয়েছে, প্রত্যেক দেশেরই, তাদের নাগরিকত্ব গণনা করা এবং তার প্রমাণ করার অধিকার রয়েছে, এবং বিভিন্ন নীতির মাধ্যমে তা বিশেষ ক্ষমতার আওতায় আনার অধিকার রয়েছে।

Advertisement

বিতর্কিত এই আইনটি রদ করার দাবিতে অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অরুণাচলের বিভিন্ন এলাকায় হাজারও মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন এবং গত দুদিনে জারি করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করতে নেমেছিলেন হাজারও মানুষ। অসমের গুয়াহাটিতে পুলিশ গুলি চালানোয় অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

“আমরা শান্তির পথে”, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ নিয়ে বললেন অসমের ডিজি

Advertisement

জেরিমি লওয়ারেন্স বলেন, যদিও ভারতের বৃহত্তর নাগরিকত্ত্ব পাওয়ার আইন একই রয়েছে, তবে এই নতুন আইন নাগরিকত্ব পাওয়ার ব্যাপারে মানুষের ওপর পক্ষপাতিত্বমূলক প্রভাব ফেলবে। সমস্ত অভিবাসী, তাঁদের অভিবাসী অবস্থা ছাড়া, সম্মান, সুরক্ষা এবং তাঁদের মানবধিকার রক্ষার অধিকার রাখেন বলেও জানান তিনি। একটি বিবৃতিতে রাষ্ট্রসংঘের মানবধিকার কমিশনের মুখপাত্র বলেন, “১২ মাস আগে, ভারত, সুরক্ষিত, নিয়মিত এবং ক্রমান্বয়ে অভিপ্রয়াণের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে,  যার ফলে দুর্বল পরিস্থিতিতে অভিপ্রয়াণের প্রয়োজনীয়তা, বিধিবর্হিভূত আটক করা এবং সমষ্টিগত বিতাড়ন এড়িয়ে উত্তর দিতে পেরেছে, এবং নিশ্চিত করেছে যে, সমস্ত অভিপ্রয়াণ পরিচালনা করা হয়েছে মানবধিকার রক্ষা করে”।

তিনি আরও বলেন, যেখানে নিপীড়িত মানুষকে রক্ষা করাকে স্বাগত জানানো হয়েছে, একটি একটি শক্তসার্মথ্য জাতীয় আশ্রয় প্রথার মাধ্যমে করা উচিত, যাতে সাম্যতার নীতি এবং অ-পক্ষপাতিত্বের সূচনা হয়।

Advertisement

Citizenship Act: দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের

রাষ্ট্রসংঘের মানবধিকার কমিশনের মুখপাত্র আরও বলেন, সমস্ত মানুষের কাছে নিপীড়ন থেকে সুরক্ষা এবং অন্যান্য মানবধিকার লঙ্ঘন থেকে সুরক্ষার আবেদন করা উচিত, যাতে ধর্ম, জাতি, জাতীয়তা এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ বিষয়গুলি নিয়ে পার্থক্য না হয়। জেরিমি লওয়ারেন্স বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি, এই নয়া আইন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বিবেচনা করবে এবং আশা করি ভারতের আন্তর্জাতিক মানবধিকারের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement