করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের বৃদ্ধি কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের নীতি (Coronavirus Lockdown Rules) নিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি, ঠিক সময়ে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভারতের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। ওই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও জারি, তাই ২১ দিনের লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) পরেও আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখার ঘোষণা করেন মোদি। তবে প্রধানমন্ত্রী ভালভাবেই জানেন যে, টানা লকডাউন চলার ফলে দেশের দিন আনি-দিন খাই মানুষের দুরবস্থা চরমে পৌঁছেছে। গোটা দেশ তো অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয়েছেই, সেই সঙ্গে না খেতে পেয়ে মরার দশা হয়েছে দরিদ্র শ্রেণির মানুষজনের। তাই এবার লকডাউনের নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
লকডাউনের গাইডলাইন, ২০ এপ্রিল থেকে মিলবে গ্রামীণ শিল্প, আইটি, ই-কমার্সে ছাড়
যে যে এলাকায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রায় ছড়ায়নি বললেই চলে, সেখানে সেখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মোদি সরকার স্পষ্টভাবে এটাও বলে দিয়েছে যে, করোনা সংক্রমণপ্রবণ হটস্পটগুলোত লাগু থাকবে লকডাউনের কড়া নিষেধাজ্ঞা, কঠোর নজরদারি চালাবে প্রশাসন।
"স্বাদ-গন্ধ কিছুই পাচ্ছিলাম না": অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন করোনাকে জয় করে ফেরা তরুণী
লকডাউনের মধ্য়েও কোন কোন কাজে মিলল অনুমতি:
- কৃষিকাজ ও তার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কাজ
- নির্দিষ্ট কিছু শিল্পের কাজ
- ডিজিটাল অর্থনীতি
- অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সাধারণ পণ্য, দুটির পরিবহণেই মিলেছে ছাড়
- কৃষি বিপণনে ছাড়
- সার, কীটনাশক, বীজ উৎপাদন, বিতরণ, খুচরো বিক্রয়ে ছাড়
- মাছ, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, হাঁস-মুরগি, লাইভ-স্টক ফার্মিং
- চা, কফির উৎপাদন ও সরবরাহ, রবার বাগানের কাজ
- গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কাজ
- গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, সেচ প্রকল্প, ভবন, শিল্প প্রকল্প নির্মাণের কাজ
- মনরেগার অধীনে বিভিন্ন কাজ, বিশেষত সেচ ও জল সংরক্ষণের কাজ
- উৎপাদন, অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ সহ অন্যান্য গ্রামীণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ
- আইটি হার্ডওয়্যার, প্রয়োজনীয় পণ্য এবং প্যাকেজিং শিল্প
- কয়লা, খনিজ, তেল উৎপাদন
- আরবিআই, অন্যান্য ব্যাংক, এটিএম, সেবি এবং বীমা সংস্থাগুলির কাজ
- ই-কমার্স, আইটি এবং আইটি-সংক্রান্ত পরিষেবা, ডেটা এবং কল সেন্টার
- অনলাইনে প্রশিক্ষণ
- স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক ক্ষেত্র
- কেন্দ্রীয়, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সংস্থা খোলা থাকবে
লকডাউনের সময় কী কী কাজে অনুমতি নেই:
- বিমান, রেল ও সড়ক পরিবহণ বন্ধ
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে
- বড় শিল্প ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ
- হোটেল সংক্রান্ত ব্যবসা বন্ধ
- সিনেমা হল, থিয়েটার বন্ধ
- শপিং কমপ্লেক্স বন্ধ
- সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান বন্ধ
- বন্ধ ধর্মীয় স্থানগুলোও
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|