কেউ বলেন এটি ভূতুড়ে বাড়ি। প্রতিবেশির ভয় মিশ্রিত প্রতিক্রিয়া, রাতে কান পাতলেই নানা ধরনের আওয়জ শোনা যায়। রাজধানীর জনবহুল এলাকার এই বাড়ি 'অভিশপ্ত' কেন? এরও ইতিহাস আছে। সাল ২০১৮, ১ জুলাই। বুরারি এলাকায় এক পরিবারের ১১ সদস্যের আত্মহত্যার খবর কাঁপিয়ে দিয়েছিল দিল্লিবাসীকে। শুধুই মাঝবয়সী নয়, ওই দিনের মৃত্যুমিছিলে নাম লিখিয়েছিলেন বাড়ির বরিষ্ঠ এবং বাচ্চারাও। এঁদের মধ্যে ১০ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল দিল্লি প্রশাসন। একজনের দেহ পড়েছিল বিছানার ওপর। কেন, এভাবে আত্মহত্যা করেছিলেন সবাই মিলে? উত্তর মেলেনি। তারপরে থেকেই অন্ধবিশ্বাসীদের দাবি, বাড়িটি অতৃপ্ত, মৃত আত্মাদের বসতি। সেখানে জীবন্ত মানুষদের প্রবেশ মানা! ফলে, দীর্ঘদিন ফাঁকা পড়েছিল বুবারি হাউজ। নতুন বছরের আগে সেই বাড়িতে পা রাখলেন এক পরিবারে। বসবাসের জন্য!
Viral Pics: চুটিয়ে প্রেম, বিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে
খবর, শুধু পরিবারের সদস্য নয়, আত্মীয়-বন্ধুদের নিয়ে সেখানে গৃহপ্রবেশের পুজোআর্চাও করতে দেখা গেছে নয়া বাসিন্দাদের। ঘটনার দেড় বছর পরে এই দুঃসাহস দেখালেন ডাক্তার মোহন সিং। পেশায় ল্যাব টেকনিশিয়ান মোহন আপাতত ভাড়া নিয়েছেন ওই বাড়ি। গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকবেন এই পরিবার। অন্য ফ্লোরে ডায়াগনোসিস সেন্টার খোলা হয়েছে। মোহন সিং জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার একেবারেই কুসংস্কারাচ্ছন্ন নন। ফলে, এখানে থাকতে তাঁদের কোনও অসুবিধে নেই। এমনকি তাঁর ডায়াগনোসিস সেন্টারে আসতে আপত্তি নেই কোনও রোগীর। বরং বাড়িটি রাস্তার ধারে হওয়ায় তাঁর অসুবিধের থেকে সুবিধে হয়েছে বেশি।
‘সিক্রেট সান্টা' হলেন বিল গেটস, অভাবনীয় উপহার তরুণীকে
বুরারির ওই অভিশপ্ত বাড়ির দুই প্রতিবেশি রবীন্দ্র, সুরেশের দাবি, এমন ভয়ানক ঘটনার পরে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি বাড়িটিকে ঘিরে। কোনও অলৌকিক আওয়াজ শোনা যায়নি। বরং, উভয়ের মতে, যা হয়ে গেছে তা ভেবে কী লাভ! আর মৃত পরিবার খুবই সহৃদয় ছিলেন। ফলে, তাঁরা অশরীরী হয়ে কারোর ক্ষতি করতে আসবেন, এমনটা হতে পারে না! তবে তদন্তের সময় বাড়ির ভেতর থেকে এমন কিছু জিনিস আবিষ্কার করেছিল পুলিশ যা দেখে তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন, সম্ভবত অন্ধবিশ্বাসের বশেই এমন হটকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা।
(তথ্যে ANI)
VIDEO: বুরারি কাণ্ডে CCTV ফুটেজ