USCIRF: বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসাবে ১৪ টি দেশের তালিকা তৈরি করেছে ওই মার্কিন সংস্থা, তার মধ্যে ভারতও রয়েছে
হাইলাইটস
- ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন, বলল ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন
- ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা হচ্ছে না এমন ১৪ টি দেশের তালিকায় রাখা হল ভারতকে
- ভুল ব্যাখ্যা করছে আমেরিকা বলে বিষয়টি উড়িয়ে দিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক
নয়া দিল্লি: সংখ্যালঘুরা ভারতে (India) ক্রমবর্ধমান হামলার শিকার হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক মার্কিন কমিশন গোটা বিশ্বের ধর্মীয় স্বাধীনতার (Religious Freedom) বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার পর এমনটাই মনে করছে। মার্কিন সংস্থা USCIRF, ২০০৪ সালের পর এই প্রথমবার ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে উদ্বেগজনক ১৪ টি দেশের তালিকায় পাকিস্তান, চিন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতকেও রেখেছে। মার্কিন সংস্থা (US) আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন বা USCIRF তাদের রিপোর্টে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তীব্র সমালোচনা করেছে। যদিও ভারতের তরফ থেকে গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। রীতিমতো ক্ষোভের সুরে ভারত জানিয়েছে ওই মার্কিন প্যানেলের "ভুল ব্যাখ্যা করার প্রবণতা এখন নতুন স্তরে পৌঁছেছে"।
রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২৮, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২২
আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন বা USCIRF ভারতকে "বিশেষ উদ্বেগের দেশ" হিসাবে উল্লেখ করে বলেছে যে, "সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং চুপচাপ বসে সেসব সহ্য করছে"।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, "২০১৯ সালের, মে মাসে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরে জাতীয় স্তরে সরকার তার শক্তিশালী সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ব্যবহার করে ভারত জুড়ে সংখ্যালঘুদের, বিশেষত মুসলিমদের ক্ষেত্রে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারী জাতীয় স্তরের নীতি প্রতিষ্ঠা করছে"।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে ওই মার্কিন রিপোর্টে। ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারী শ্রমিকদের তিনি যে উঁইপোকা বলে মন্তব্য করেছিলেন, তার সমালোচনা করা হয়েছে সেখানে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গও টানা হয়েছে। যোগী বলেছিলেন, যাঁরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁদের বিরিয়ানি নয়, বুলেট খেতে হবে। সেই মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করে ওই মার্কিন সংস্থা।
“ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের শীর্ষ তালিকায় বিজেপির বন্ধুরা”, বললেন রাহুল গান্ধি
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, "২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে মুসলিম পাড়াগুলিতে হামলা চালানো হয়েছে। তিন দিন ধরে ওই হিংসা চলে। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিচালিত দিল্লি পুলিশ ওই হামলা থামাতে ব্যর্থ হয়। বরং কোথাও কোথাও হামলাকারীদের ইন্ধন দেয় পুলিশ"।
এই রিপোর্টেরই তীব্র নিন্দা করে ভারত। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে এদের পক্ষপাতদুষ্ট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য নতুন কিছু নয়। অনেক দিন ধরেই এই ধরণের কথাবার্তা চলছে। তবে এ বার এদের অপব্যাখ্যা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে”। "এটা একটা সংস্থার নিজেদের মত এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নেব", একথাও বলেন তিনি।