New Map of India: ভারতের রাজ্যের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯
নয়াদিল্লি: দুইখানি নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বাড়ার পরে কেমন হবে ভারতের নতুন মানচিত্র (new political map of India)? কৌতূহল ছিলই মানুষের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry) শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরে সদ্য নির্মিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Union Territories of Jammu and Kashmir) এবং লাদাখের (Ladakh) সীমানা সম্পর্কিত সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিটিতে ভারতের একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রও রয়েছে যার মধ্যে এখন পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) হিসাবে চিহ্নিত অঞ্চলগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেশের নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে তৈরি হওয়া এবং তাদের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নরের (Lieutenant Governors) শপথ গ্রহণের দু'দিন পরে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যয় সচিব গিরিশচন্দ্র মুর্মু (Girish Chandra Murmu) জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম লেফটেন্যান্ট-গভর্নর হিসাবে শপথগ্রহণ করেন এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব রাধাকৃষ্ণ মাথুর (Radha Krishna Mathur) লাদাখের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসাবে শপথ নেন। শনিবারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কারগিল ও লেহ ব্যতীত পূর্বের রাজ্যের সমস্ত জেলা নিয়েই থাকবে। কারগিল ও লেহ থাকবে লাদখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধীনে।
আরও পড়ুনঃ জানেন নবতম দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কী কী বদল হচ্ছে আজ থেকে? দেখে নিন এক ঝলকে
এটি জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
এটি লাদাখের নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
বৃহস্পতিবার ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হিসেবনিকেশ বদলে নয়া অস্তিত্ব নিয়ে হাজির হয়েছে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকীতে জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত হয়। ভারতীয় ইউনিয়নে ৫৬০ টিরও বেশি প্রাদেশিক রাজ্যকে একীভূত করার বিশেষ কৃতিত্ব ছিল সর্দার প্যাটেলের।
আরও পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ ৩৭০, ৩৫এ আসলে "সন্ত্রাসের প্রবেশদ্বার" ছিল, প্রধানমন্ত্রী সেটি বন্ধ করলেন: অমিত শাহ
জম্মু ও কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের রাজ্যের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯।
মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যেই বিজেপির দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতি পূরণ করে ৫ আগস্ট বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটিয়ে এই ভাগাভাগির পথ সুগম করে কেন্দ্র। সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে ৩৭০ এবং ৩৫ এ ধারা উভয়ই ‘সাংবিধানিকভাবে দুর্বল' এবং বৈষম্যমূলক ছিল যা রাষ্ট্রের বিকাশকে বাধা দিয়েছে।
সরকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ কয়েক শতাধিক স্থানীয় রাজনীতিবিদকে ৫ আগস্ট আটক করে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া ও সন্ত্রাসী হামলা রোধে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি, বিশেষত যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করা প্রয়োজনীয় ছিল এবং পর্যায়ক্রমে তা প্রত্যাহার করা হবে বলেই সরকার জানিয়েছিল।
সরকার আরও জানায় যে, জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে রয়ে যাবে না এবং ‘স্বাভাবিকতা' ফেরার পরে একটি ‘উপযুক্ত সময়ে' একে ফের রাজ্যের মর্যাদাতেই ফেরানো হবে।