This Article is From Sep 12, 2019

সংসদভবন, মন্ত্রকের দফতরগুলি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা

সূ্ত্রের খবর, “২০২২ এর ১৫ অগস্টের মধ্যে, যখন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হবে, নয়া সংসদ ভবন হবে, ২০২২ এর সংসদের বাদল অধিবেশন হবে নয়া বা সংস্কার করা সংসদ ভবনে”

সংসদভবন, মন্ত্রকের দফতরগুলি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা

বর্তমান সংসদ ভবনের, নতুন করে নকশা করা এবং তার সংস্কার করার আবশ্যিক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে (ফাই)

নয়াদিল্লি:

২০২২ এর সংসদের বাদল অধিবেশন হবে নয়া সংসদ ভবনে, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে। বিভিন্নমন্ত্রকের দফতরগুলি এক জায়গায় করে নয়া ভবন তৈরির কাজের প্রকল্পও খুব দ্রুত শুরু হবে, এছাড়াও সরকারি সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নর্থ ও সাউথ ব্লক এবং ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত পর্যন্ত যে ৩ কিলোমিটার পথ রয়েছে, সেটিরও সংস্কার করা হবে। পরামর্শের জন্য ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন নকশা এবং স্থাপত্যবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকার, ২ সেপ্টেম্বর, “সংসদ ভবন, কমন কেন্দ্রীয় সচিবালয় ও সেন্ট্রাল ভিস্তার উন্নতি ও সংস্কার  প্রস্তাবের অনুরোধ বিষয়ক” কাজের জন্য।

আরপিএফ বা রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল অনুযায়ী, এটি হবে ১৫০ থেকে ২০০ বছরের পর প্রথম সংস্কার।

সরকারি ওই সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ভিস্তার সংস্কারের কাজ চলার সময়, সংস্থাকে সেন্ট্রাল ভিস্তা কমিটি এবং ল্যুটিয়েন্স বাংলো জোনের গাইডলাই মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রীয় হাউজিং এবং নগরোন্নয়নমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, যে, ১৯২৭ এ সংসদ ভবনের কাজ শেষ হয় এবং বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী, এখানে সুবিধা এবং পরিকাঠামো “যথেষ্ঠ নয়”।

সূ্ত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, দফতরগুলির জন্য জায়গা “খুবই কম” রয়েছে এবং সংসদ ভবনে সাংসদদের জন্য কোনও ঘর নেই। জানানো হয়েছে, যদি সদস্যসংখ্যা আরও বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।  

একটি সূত্র জানিয়েছে, সূ্ত্রের খবর, “২০২২ এর ১৫ অগস্টের মধ্যে, যখন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হবে, নয়া সংসদ ভবন হবে, ২০২২ এর সংসদের বাদল অধিবেশন হবে নয়া বা সংস্কার করা সংসদ ভবনে”।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে, সেন্ট্রাল ভিস্তা সংস্কার করা হবে, ২০২৪  এর মধ্যে তৈরি হবে কেন্দ্রীয় সচিবালয়।

বর্তমান সংসদ ভবনের, নতুন করে নকশা করা এবং তার সংস্কার করার আবশ্যিক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তারসঙ্গে বাইরের গেট এবং তারকাছেই একটি স্টেট অফ দ্য আর্ট বিল্ডিং তৈরিও প্রয়োজন রয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, “সরকার এখনও ঠিক করেনি, নতুন করে সংসদ ভবন তৈরি করা হবে নাকি, এই জায়গাতেই সংসদ ভবনের সংস্কার করা হবে”।

কেন্দ্রীয় সচিবালয়ের উন্নয়নের ক্ষেত্রে, মন্ত্রকের সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ল্যুটিয়েন্স দিল্লিতে ৪৭টি ভবন রয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রীদের বাড়ি মন্ত্রক মিলিয়ে মোট কেন্দ্রীয় সরকারের ৭০,০০০ কর্নী রয়েছেন।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, “বিভিন্ন মন্ত্রকের অফিসগুলি পরিচালনার জন্য বার্ষিক ১,০০০ কোটি টাকা খরচ করে সরকার। যদি একটি কমন কেন্দ্রীয় সচিবালয় থাকে, এই অর্থ বেঁচে যাবে”।

সেন্ট্রাল ভিস্তার ক্ষেত্রে আধুনিক স্মার্ট সিটির সুবিধা, যেমন তারমধ্যে রয়েছে, জনসাধারণের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা এবং পার্কিং এর মতো ব্যবস্থাগুলি, তেমনই উল্লেখ পরিকল্পনায়।

সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, “এছাড়াও ১০০ বছরের আগের তৈরি করা ভবনগুলির ক্ষেত্রে, যেমন নর্থ এবং সাউথ ব্লক, সেগুলি ভূমিকম্প থেকে নিরাপদ নয়। কাজের জায়গা কম রয়েছে. পার্কিং, সুযোগ সুবিধা এবং পরিষেবাও”। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং বিভিন্ন দফতরগুলি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় কাজের সমস্যা এবং যোগাযোগের অসুবিধা হয়”।

কেন্দ্রীয় পূ্র্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তার পরিকল্পনা করেছিলেন স্থাপত্যবিদ এডওয়ার্ড ল্যুটিয়েন্স এবং হারবার্ট বেকার, তারমধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন, নর্থ ও সাউথ ব্লক এবং ইন্ডিয়া গেটসহ অন্যান্যগুলি।

 ১৯১১-১৯৩১ পর্যন্ত সেগুলি তৈরি করা হয়, সেই সময় নয়া রাজধানী তৈরি হয়। তারপর থেকে দৃষ্টান্তমূলক সেভাবে বড় কোনও স্থাপত্য তৈরি হয়নি।

.