Delhi Riots 2020: ভিডিওতে দেখা যায়, যমুনা বিহারে জমায়েত হওয়া জনতার ভিড়কে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে
হাইলাইটস
- দিল্লির যমুনা বিহারে সংঘর্ষের সময় তোলা একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ
- স্থানীয় একটি হাসপাতালের ছাদ থেকে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়
- ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হেলমেট পরা এক ব্যক্তি গুলি চালাচ্ছে
নয়া দিল্লি: দিল্লি হিংসার (Delhi Riots 2020) আরও একটি ভিডিও এবার প্রকাশ্যে এল যা দেখে শিউরে উঠবেন আপনি। হাই-রেজোলিউশন যুক্ত ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির যমুনা বিহারে (Yamuna Vihar) যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল একদল জনতা সেই সময় সেখানকার একটি হাসপাতালের ছাদ থেকে কালো জ্যাকেট পরে হেলমেট মাথায় এক ব্যক্তি রাস্তায় থাকা জনতার ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। NDTV-র হাতে যে ভিডিওটি এসেছে সেটি তোলা হয়েছে মোহন নার্সিং হোম তথা হাসপাতালের বিপরীতে থাকা একটি বহুতল থেকে। ভিডিওতে এও দেখা যাচ্ছে যে ওই সময় কিছু মুখোশধারী ব্যক্তি হিংসা ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। গত সপ্তাহে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলন ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে, পরে সেই সংঘর্ষই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করে সেখানে, হিংসার (Delhi violence) বলি হয়ে প্রাণ হারান বহু মানুষ।
দিল্লি-হিংসার ঘটনায় পুলিশের উপর হামলার ভিডিও প্রকাশ, লাগাতার ইটবৃষ্টি
এর আগেও দিল্লি হিংসার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে সাম্প্রতিক যে ভিডিওটি NDTV-র হাতে এসেছে তা অনেক বেশি পরিষ্কার। ফলে আরও ভালো করে বোঝা যাচ্ছে যে কীভাবে রাজধানীর বুকে হিংসা ছড়ানোর বিষয়ে কিছু লোক সক্রিয় ছিল।
সাম্প্রতিক এই ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে গুলি চালাতে দেখা যাচ্ছে তাঁর মুখ হেলমেটে ঢাকা থাকায় তাঁকে অবশ্য চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। কিন্তু তার পাশে থাকা অন্যান্য ব্যক্তিদের ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে ভিডিওটিতে।
যমুনা বিহার অঞ্চলে বেশিরভাগই হিন্দু মানুষজন থাকেন এবং চাঁদবাগ অঞ্চলটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই দুই অঞ্চলের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সেদিন হানাহানির ঘটনা ঘটে। যদিও এই সাম্প্রতিক ভিডিওটি প্রসঙ্গে কোনও পুলিশ প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
দিল্লিতে হিংসা চলাকালীন বহু বাড়ি ও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়, হেনস্থা করা হয় স্থানীয় মানুষজনকে
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে, এক যুবকের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে, তাঁর পেটের নিচের দিকে রক্তাক্ত। পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, শাহিদ খান আলভী নামে বছর বাইশের এক অটোরিকশা চালক ছিলেন ওই যুবক, তিনি মূলত উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা, ওই হিংসা চলাকালীন ঘটনাস্থলে এসে পড়েন তিনি। তবে হাসপাতালের উপর থেকে চালানো গুলিতেই তিনি মারা যান কিনা তা স্পষ্ট নয়।
দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩
গত সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধে, পরে সেই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর হিংসা পরিস্থিতির রূপ নেয়। উত্তর পূর্ব দিল্লির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ওই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা রাজধানীতেই আতঙ্ক ছড়ায়, পাল্লা দিয়ে ছড়ায় গুজবও। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে টানা চার দিন উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া ওই হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩। আহত দুই শতাধিক মানুষ। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় হাজার খানেক মানুষকে।
কিছু বিজেপি নেতার বিদ্বেষমূলক প্ররোচনা তথা উস্কানির জেরেই দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। এই নিয়ে মামলাও করেছেন দিল্লি হিংসায় নিহতদের পরিবার।