This Article is From Dec 30, 2018

বড় হয়ে বিয়ে হবে না বলে নবজাতকের অতিরিক্ত আঙুল কেটে ফেললেন আদিবাসী মা

আদিবাসী এই মহিলা ভয় পেয়েছিলেন যে, হাত পায়ের এই অতিরিক্ত আঙ্গুলের কারণে শিশুকন্যাটি ভবিষ্যতে বিয়ে করতে পারবে না। এর সঙ্গে জোট বাঁধে কুসংস্কার।

বড় হয়ে বিয়ে হবে না বলে নবজাতকের অতিরিক্ত আঙুল কেটে ফেললেন আদিবাসী মা

সুন্দরদেভ গ্রামের তারাবাই নামের ওই মহিলা ২২ ডিসেম্বর শিশুটিকে জন্ম দেন

খাণ্ডওয়া:

হাতে পায়ে অতিরিক্ত আঙুল। তাই বড় হয়ে বিয়ে হবে না এই আশঙ্কায় সদ্যোজাতের আঙুল কেটে ফেললেন মা! এই ২০১৯ সালের ঠিক আগে দাঁড়িয়ে মেয়ে শিশুর জন্য বিবাহ প্রতিষ্ঠানের আবশ্যিকতা ও কুসংস্কারের বলি হতে হল সদ্যোজাত একটি শিশুকে। মধ্য প্রদেশের খাণ্ডওয়া জেলার একটি উপজাতি গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে বলেই নিজেই কাস্তে হাতে কয়েক দিনের ওই শিশুর আঙুল কেটে দেন তিনি। মৃত্যু হয় নবজাতকের।

২২ ডিসেম্বরে জন্মগ্রহণকারী শিশুকন্যাটি দুই হাতে ও দুই পায়ে ছয়টি করে আঙ্গুল ছিল। প্রতিটি কেটে ফেলায় আঘাত ও রক্তক্ষয়ের কারণে তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর শিশুটির দেহ কবর থেকে বের করে এনে তদন্ত করা হচ্ছে।

উত্যক্ত করার অভিযোগে যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে নিলেন চল্লিশোর্ধ মহিলা

পুলিশ জানিয়েছে, “সুন্দরদেভ গ্রামের তারাবাই নামের ওই মহিলা ২২ ডিসেম্বর শিশুটিকে জন্ম দেন। শিশুর হাতে ও পায়ে অতিরিক্ত আঙুল থাকায় ওই মহিলা একটি কাস্তে দিয়ে সদ্যোজাতের হাতের ও পায়ের অতিরিক্ত আঙুল কেটে ফেলেন। পরে আবার শিশুর ওই ক্ষতস্থান ঢাকার জন্য তিনি গোবর লেপে দেন সেখানে। ফলস্বরূপ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটি মারা যায়। ওই গ্রামেই তাঁকে কবরও দিয়ে দেওয়া হয়।”

পুলিশ আরও জানিয়েছে, “আদিবাসী এই মহিলা ভয় পেয়েছিলেন যে, হাত পায়ের এই অতিরিক্ত আঙ্গুলের কারণে শিশুকন্যাটি ভবিষ্যতে বিয়ে করতে পারবে না। এর সঙ্গে জোট বাঁধে কুসংস্কার। সব মিলিয়ে অশিক্ষার জেরেই মহিলাটি এই ভয়াবহ কাজটি করেছেন।”

কিশোরীদের গোপনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে অত্যাচার,হোমের মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রুচি বর্ধন মিশ্র জানান, শিশুর দেহ ময়না তদন্ত করা হবে এবং মেডিকেল রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা, সেই দুই রিপোর্টের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

ব্লক মেডিকেল অফিসার (বিএমও) ডাঃ শৈলেন্দ্র কাতারিয়া জানান, গ্রামে শিশু প্রসব সম্পর্কিত তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত স্থানীয় চিকিৎসা কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এখনও ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়নি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.