সোমবার কলকাতায় একটি ক্লাবে গনেশ পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা: তৃণমূলের(TMC) ৮ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁরা দলত্যাগ করতে ইচ্ছুক, সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার কলকাতায় একটি ক্লাবে গনেশ পুজোর অনুষ্ঠানে যান গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। ফলে তাঁর এই উপস্থিতি বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা আরও উস্কে দেয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে বিধাননগর পুরনিগমের পদ থেকে সরানো হয় সব্যসাচী দত্তকে। তার আগে থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিল না তাঁর। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, জাতীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন এবং মুকুল রায়কে অভ্যর্থনা জানান সব্যসাচী দত্ত।
সকালে রাস্তার দোকানে চা খেতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে হেনস্থার অভিযোগ দিলীপ ঘোষের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। অন্তত ৮ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, দেখা যাক, তাঁরা কবে যোগদান করেন”।
বিজেপির রাজ্যসভাপতির মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের শাসসকদলের তরফে বলা হয়েছে, বাংলায় কোনও জনভিত্তি নেই বিজেপির, এবং রাজ্যে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে তৃণমূল নেতাদের দলে টানছে।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আগামী দিনে এটা বিজেপির কাছে বুমেরাং হয়ে যাবে। দলের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো তাদের কেউ নেই, এবং তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ভাঙাচ্ছে”।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর ব্যর্থ চেষ্টা দেবশ্রী রায়ের
সব্যসাচী দত্ত বলেন, “আমি বিধাননগরের প্রত্যেকটি মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। দিলীপদা আমার এলাকার বাসিন্দা, এবং আমি তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমার ক্লাবে গনেশ পুজোয় আমি প্রত্যেকজনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এখন তাঁর ওপরেই নির্ভর করছে তিনি ক্লাবে আসবেন কিনা”।
দিলীপ ঘোষ বলেন, সব্যসাচী দত্তের আমন্ত্রণে পুজোয় যোগ দিতে এসেছেন তিনি। বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে, আমাদের অনেক আমন্ত্রণ রক্ষা করতে হয়। যখন আমরা কোনও আমন্ত্রণ পাই, আমরা সেটাকে রাজনীতি হিসেবে দেখি না”।
রাজ্যের তৃণমূল নেতারা দিল্লিতে রাজনৈতিক পর্যটনে বেরিয়েছেন: দিলীপ ঘোষ
২০১৫-এ গঠিত হয় বিধাননগর পুরমনিগম, প্রথম মেয়র হন সব্যসাচী দত্ত। রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের বিরোধী একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, কর্মীদের বেতনবৃদ্ধিসহ একাধিক দাবি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এছাড়াও বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর থেকেই সব্যসাচী দত্তের ওপর ক্ষুব্ধ দলীয় নেতৃত্ব।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে আসন বাড়িয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে পদ্ম ফুটেছে। এখনও পর্যন্ত, সাতজন তৃণমূল কংগ্রেস, এবং একজন কংগ্রেস ও সিপিআইএম বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)