৩১ অগস্ট জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের হয়
কলকাতা: অসমের এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে বিধানসভায় যৌথ প্রস্তাব আনছে বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার দ্বিতীয়ার্ধে এই প্রস্তাব আনা হতে পারে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্না বলেন, “গত দুদিন ধরে, অসমের এনআরসির বিরুদ্ধে আমাদের (বাম ও কংগ্রেস) প্রস্তাব আনতে দেওয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।আজ তারা রাজি হয়েছে। এখন এটা ঠিক হয়েছে, শুক্রবার একসঙ্গে প্রস্তাব আনবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। এটা নিয়ে আলোচনা হবে”। ২৬ অগস্ট বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেদিন থেকেই মূল্যবৃদ্ধি এবং পে কমিশন লাগু করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে বাম এবং কংগ্রেস, যদিও সেই দাবি খারিজ হয়ে যায়।
এনআরসি নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস
৩১ অগস্ট জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর, ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তবে গত দুদিন ধরে এই দাবি মানা হচ্ছিল না। সেই কারণে আমরা মনে করেছিলাম যে, যে সমস্ত মানুষ এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁদের দুর্ভোগ সম্পর্কে চিন্তিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজ তারা জানায়, যে, তারা যৌথ প্রস্তাব আনবে”।
রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই “কঠোর নিয়ম”-এর বিরোধিতা করার সময় এসেছে।
বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা জানান, প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে তাঁর দল। মনোজ টিগ্গা বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এনআরসি করা হয়েছে। তারা যদি এর বিরোধিতা করে, তারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে”।
সোমবার তৃণমূল সিদ্ধান্ত নেয়, এনআরসির বিরোধিতায় ৭ এবং ৮ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে তারা।
অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী প্রকাশ করা হয়। এনআরসিতে নাম তোলার আবেদন করেছিলেন ৩,৩০,২৭,৬৬১ জন। তারমধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই পায় ৩,১১,২১,০০৪ জনের নাম। মোট ১৯,০৬,৬৫৭ জনের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে।এমনটাই জানানো হয়েছে এনআরসির রাজ্য কো-অর্ডিনেটরের দফতরের তরফে।বাদ পড়া ব্যক্তিরা ১২০ দিনের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)