কলকাতা: বিশ্বকবির ঐতিহ্যকে ধরে রেখে বরাবরই শান্তিনিকেতনে বিশাল আকারে পালিত হয়ে আসছে পৌষমেলা (Pous Mela)। এবছর গ্রিন ট্রাইবুনালের (NGT নির্দেশে সেই মেলার আয়তন ছোট হচ্ছে বলে খবর। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এনজিটি-র নির্দেশ মেনে ছোট আকারে অনুষ্ঠিত হবে পৌষ মেলা। স্টল এবং প্রদর্শনীর সংখ্যাও কম করা হবে। একই সঙ্গে মেলায় বর্জ্য পদার্থ জমে যাতে দূষণ না ছড়ায় সেদিকেও নজর দিতে বলেছে ট্রাইবুনাল। পাশাপাশি, নিকাশি ব্যবস্থার প্রতিও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। প্রসঙ্গত, মেলা থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে এই অভিযোগে জুন মাসে একটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় কিছু মানুষ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইবুনালের এই নির্দেশ এবং পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
মধ্যযুগীয়! মুখে কালি, জুতোর মালা গলায় যুবতী ও দলিত যুবককে ‘সবক' শেখাল গ্রামবাসী
বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে অনির্বাণ সরকার এদিন সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবছর ৬০০-৭০০টি স্টল বসে মেলায়। এবার সেই সংখ্যা কমিয়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে ১০০-য়। যেখানে শুধুই আঞ্চলিক এবং আদিবাসী হস্তশিল্প স্থান পাবে। তাঁর কথায়, বিশ্বকবি এই মেলার সূচনাই করেছিলেন বীরভূমের শিল্প-সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে আরও সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে। সেই ভাবনাই এবারের মেলায় নতুন করে প্রতিফলিত হবে। তবে মেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশ 'ছাতিমতলা' এবারেও থাকছে।
ফুঁসে উঠল নদী, প্লাবিত মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু এলাকা
এবছর ২৩-২৮ ডিসেম্বর পৌষমেলা বসবে গুরুদেবের সাধের শান্তিনিকেতনে। মেলা যাতে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সাহায্য চাইবে বলে জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, শান্তিনিকেতনের আরেক বিখ্যাত উৎসব বসন্ত উৎসব-এর কথাও আগাম জানিয়ে দেওয়া হল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। আগামী ফেব্রুয়ারি বা মার্চে প্রতিবছরের মতোই বসন্ত পূর্ণিমার দিন বসবে এই মেলা।