প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর কেন্দ্রের সরকারকে টুইটারে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধি।
হাইলাইটস
- ফের শুক্রবার আইপিএস দেবেন্দর সিং-এর গ্রেফতারি নিয়ে সরব রাহুল গান্ধি
- এনআইএ তদন্ত জঙ্গি দেবেন্দরকে চুপ করানোর সহজ পন্থা, টুইট করে বলেন তিনি
- বৃহস্পতিবারও টুইট করে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি
নয়াদিল্লি: ডিএসপি দেবেন্দর সিংয়ের জঙ্গি যোগকে খোঁচা দিয়ে ফের সরব হলেন রাহুল গান্ধি। শুক্রবার ওই কংগ্রেস সাংসদের (Rahul Gandhi) অভিযোগ, "ওই আইপিএসের (DSP Davinder) মুখ বন্ধ করতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বা এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এখন বিষয়টা মৃত্যুর মতই নীরব।" #WhoWantsTerroristDavinderSilenced ব্যানারে এদিন একাধিক টুইট করেছেন রাহুল গান্ধি। যে টুইটে রাহুল লেখেন, "জঙ্গি দেবেন্দর সিংকে চুপ করানোর সহজ পন্থা এনআইএ-কে তদন্তভার দাও। এই সংস্থার প্রধান আরও এক মোদি। ওয়াই কে মোদি। যিনি গুজরাত দাঙ্গা আর হরেন পাণ্ডের হত্যার তদন্ত করেছিলেন। তাই ওয়াইকে'র অধীনে এই তদন্ত (NIA Investigation) মৃত্যুর মতোই নীরব থাকবে।" পিটিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খুব শীঘ্র এনআইএ-কে তদন্তভার দিতে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। এই সংস্থার প্রধান যোগেশ চন্দ্র মোদি। ১৯৮৪ ব্যাচের এই আইপিএস এখন ডিজি পদ মর্যাদাভুক্ত।
গত সপ্তাহে টুইটে ডিএসপি দেবেন্দর সিংয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। "দেবেন্দর সিংয়ের জায়গায় যদি দেবেন্দর খান হতো?" তার এই প্রশ্নের বিরোধিতা করে সরব হয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেসকে পাকিস্তানের প্রিয় বন্ধু বলে কটাক্ষ করেছিল গেরুয়া শিবির।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার, রাহুল গান্ধি প্রশ্ন তুলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) জম্মু- কাশ্মীরের ডিএসপি দেবেন্দর সিংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে কেন নীরব? সেদিন টুইট করে ওই কংগ্রেস সাংসদ বলেন, "ডিএসপি দেবেন্দর সিংয়ের বাড়ি থেকে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের হাতে রক্ত লেগে ছিল। জঙ্গিদের আশ্রয় এবং দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অপরাধে ওই ডিএসপির চরম শাস্তি পাওয়া উচিত। অবিলম্বে ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে এই মালার শুনানি হোক।" তাঁর এই টুইটের সঙ্গে তিনি একাধিক প্রশ্নও জুড়েছিলেন। যাতে উল্লেখ: প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর এনএসএ নীরব কেন? পুলওয়ামা নাশকতায় ওই ডিএসপির ভূমিকা কি? ওই তিনজন বাদে মোট কতজন জঙ্গিকে সাহায্য করেছেন ওই আইপিএস? কে তাকে এতদিন রক্ষা করে এসেছেন এবং কেন?
একই সুর শোনা গিয়েছিল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধির গলাতেও। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেছেন, দেশের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে দেবেন্দর সিংয়ের গ্রেফতারি অনেক প্রশ্ন তুলছে। বিদেশী কূটনীতিবিদদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই আইপিএস। কার নির্দেশে তিনি এ কাজ করছিলেন? জঙ্গি নাশকতায় সাহায্য করা দেশদ্রোহিতা।দিন কয়েক আগে উপত্যকা পরিদর্শনে এসেছিলেন কয়েকজন বিদেশি প্রতিনিধি। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে শ্রীনগর বিমানবন্দরে মোতায়েন করা হয়েছিল ওই ডিএসপিকে। এরপরেই শ্রীনগর হাইওয়ে থেকে তিন হিজবুল জঙ্গি-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একে-৪৭ উদ্ধার করে পুলিশ। জম্মু থেকে দিল্লি আসার পথে এই গ্রেফতারি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাঁর সরকারি আবাসনে সেই তিনজনকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ওই আইপিএস। এই আবাসন ভারতীয় সেনার ১৫ কর্পস হেড কোয়ার্টারের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। এমনকী সংসদ হামলার চক্রী আফজল গুরুকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে এনআইএ।
(PTI থেকে সংগৃহীত)