This Article is From May 23, 2018

কেরলের প্রয়াত নার্সের স্বামীকে সরকারি চাকরির প্রস্তাব, সন্তানদের জন্য 10 লক্ষ টাকা

সোমবার নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হওয়ার আগে কেরলের নার্স নিজের স্বামীর জন্য যে শেষ বার্তাটি লিখে গিয়েছেন, তা অগণন মানুষকে বেদনামথিত করে দিয়েছে।

কেরলের প্রয়াত নার্সের স্বামীকে সরকারি চাকরির প্রস্তাব, সন্তানদের জন্য 10 লক্ষ টাকা

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম মানুষটির চিকিৎসা করেছিল যে দল, উনি সেখানে ছিলেন।

তিরুঅনন্তপুরম: সোমবার নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হওয়ার আগে কেরলের নার্স নিজের স্বামীর জন্য যে শেষ বার্তাটি লিখে গিয়েছেন, তা অগণন মানুষকে বেদনামথিত করে দিয়েছে। লিনি পুথুসেরির স্বামীকে সরকারের পক্ষ থেকে একটি সরকারি চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাঁর সাত বছর ও দুই বছর বয়সী দুই ছেলেকে 10 লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে আজ জানিয়েছে কেরালার মন্ত্রক।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্য যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের হাতে মাথাপিছু 5 লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হবে।
31 বছর বয়সী লিনি, যিনি এই মাসের শুরুতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া প্রথম মানুষটির চিকিৎসার সময় টিমে ছিলেন, মৃত্যুর ঠিক আগের ঘন্টায় কোঝিকোড়ের পেরামবরা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে শুয়ে নিজের স্বামীর উদ্দেশে একটি হৃদয়বিদারক বার্তা লিখে রেখে গিয়েছেন।  
“সাজি চেট্টা, আমি প্রায় শেষ মুহূর্তে এসে পৌঁছেছি। আর কখনও তোমাদের দেখতে পাব বলে মনে হয় না। সরি। আমাদের ছেলেদের খুব যত্নে রেখো। আমাদের নিষ্পাপ ছোটো দুটো বাচ্চাকে অনেক দূরে নিয়ে যেয়ো। ওরা যেন কখনও আমাদের বাবার মতো একা না হয়ে যায়। ভালোবাসা জেনো। ভালো থেকো…” খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা তাঁর এই শেষ বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
লিনি মৃত্যুর আগে তাঁর পরিবারকে দেখতে পাননি। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেই কারণে,  মৃত্যুর পর, পরিবারের অনুমতি নিয়ে সৎকারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।
এখনও পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার 13টি নিশ্চিত খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন 10 জন। 90 জনের বেশি মানুষকে তাদের ঘরেই আলাদা করে রাখা হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রথম তিনজন একই পরিবারের লোক। বছর কুড়ি বয়েসের দুই ভাই এবং তাদের এক মহিলা আত্মীয়- এই তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ওই দুই ভাইয়ের বাবারও চিকিৎসা চলছে। ওই পরিবারের বাড়ির পাতকুয়োতে প্রচুর বাদুর পাওয়া গিয়েছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাদুর থেকেই ছড়ায় বলে মনে করা হয়।  
  
 

.