নীরব এবং তাঁর মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
হাইলাইটস
- আরও একবার নীরব মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করল বিলেতের আদালত
- এই নিয়ে পরপর তিনবার নীরবের জামিনের আবেদন খারিজ হল
- হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ বাকি রাখার অভিযোগ আছে নীরবের নামে
লন্ডন: আরও একবার নীরব মোদীর (Nirav Modi) জামিনের আবেদন খারিজ করল বিলেতের আদালত। এই নিয়ে পরপর তিনবার নীরবের জামিনের আবেদন খারিজ হল। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ (PNB Scam) বাকি রাখার অভিযোগ আছে নীরবের নামে। ভারত ছেড়ে পালিয়েও যান তিনি। দীর্ঘদিন বাদে লন্ডনের রাস্তায় তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। জানা যায় বেনামে লন্ডনে হীরের ব্যবসাও শুরু করেছেন তিনি। আরও পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই নীরবকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। এরই মাঝে একাধিকবার জামিনের আবেদন করছেন তিনি। এবার যাতে তাঁর জামিন নিশ্চিত হয় তার জন্য আইনজীবীরা সিকিউরিটি বন্ড দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেন। তবু বিচারক বলেন নীরবকে জামিন দেওয়া যাবে না। তাঁর মনে হয় এটি অনেক বড় দুর্নীতির মামলা। তাই শুধুমাত্র সিকিউরিটি বন্ড বাড়ালেই যে নীরব আত্মসমর্পণ করবেন এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
যুদ্ধ জাহাজে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছিল গান্ধী পরিবার, রাজীবকে নিশানা করে দাবি মোদীর
এদিন লন্ডনের আদালতে হাজির হন নীরব। তাঁর পরনে ছিল হালকা নীল রঙের শার্ট এবং গাঢ় রঙের প্যান্ট। দেখেই মনে হচ্ছিল সবে দাড়ি কেটে এসেছেন। এদেশে তোলা যত ছবি তাঁর রয়েছে তার কোনওটিতেই দাড়ি নেই নীরবের। কিন্তু লন্ডনের রাস্তায় তাঁকে যখন প্রথম দেখা যায় তখন তাঁর মুখে একগাল দাড়ি। এই কারণেই তাঁকে চিনতে অসুবিধা হয়েছিল প্রাথমিকভাবে। এদিন আবার নিজের পুরনো রূপে পাওয়া গেল তাঁকে। আদালতে নিজের সঙ্গে একটি নোটবুক রেখেছিলেন নীরব। শুনানির বিভিন্ন অংশ সেখানে টুকে রাখেন তিনি। সিকিউরিটি বন্ডের প্রসঙ্গ আদালতকে সন্তুষ্ট না করার পর আইনজীবী প্রস্তাব দেন নীরবকে জামিন দিলে তিনি ২৪ঘন্টা গৃহবন্দী থাকতে রাজি। নিজের বাড়িতেই থাকবেন এবং তদন্তে সমস্ত রকম সাহায্য করবেন। তবুও তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ মে। নীরব এবং তাঁর মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা দুজনেই দেশ ছাড়েন। আপাতত অ্যান্টিগাতে আছেন মেহুল। ভারতের নাগরিকত্বও ছেড়ে দিয়েছেন। আর লন্ডনে গ্রেপ্তার হয়েছেন নীরব।