This Article is From Mar 20, 2019

২০ হাজার টাকার মাসিক বেতনে লন্ডনে কাজ করতাম, আদালতকে জানালেন নীরব মোদী

নিজের জামিনের জন্য ৫ লক্ষ পাউন্ড অর্থ দিতে চেয়েছিলেন ৪৮ বছর বয়সী নীরব মোদী। তাঁর দাবি ছিল যে, তাঁকে আপাতত জামিন দেওয়া হোক। তিনি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করবেন। কিন্তু, সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়।

২০ হাজার টাকার মাসিক বেতনে লন্ডনে কাজ করতাম, আদালতকে জানালেন নীরব মোদী

জামিনের আবেদন খারিজ, ২৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজত। (ফাইল চিত্র)

নিউ দিল্লি:

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩,০০০ কোটি টাকা অর্থ জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত পলাতক ভারতীয় হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে গ্রেফতার করা হল বুধবার। আজ ব্রিটেনের আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ২০ হাজার পাউন্ড অথবা ভারতীয় মুদ্রায় ১৮ লক্ষ টাকার মাসিক বেতনে লন্ডনে কাজ করছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের মামলার শুনানি চলছে আদালতে। এই ধনকুবেরের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় ব্রিটেনের আদালত। তারা সাফ জানিয়ে দেয় যে, আপাতত নীরব মোদীকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি বলেন, “যে বিপুল অঙ্কের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ জড়িয়ে রয়েছে আপনার বিরুদ্ধে এবং তারপর আপনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা- সবটা নিয়েই আপাতত আপনাকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হল”। তিনি তার সঙ্গে এই কথাটিরও উল্লেখ করেন যে, আমার কাছে এমন যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যা থেকে এটুকু বলা যেতে পারে যে, আমি সম্ভবত আত্মসমর্পণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নীরব মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত, ২৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজত

নিজের জামিনের জন্য ৫ লক্ষ পাউন্ড অর্থ দিতে চেয়েছিলেন ৪৮ বছর বয়সী নীরব মোদী। তাঁর দাবি ছিল যে, তাঁকে আপাতত জামিন দেওয়া হোক। তিনি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করবেন। কিন্তু, সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। আপাতত তাঁকে আরও কয়েকটা দিন কাটাতে হবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের জিম্মায়।

এই পলাতক হিরে ব্যবসায়ী তাঁর মাসিক ২০ হাজার পাউন্ডের বেতনের স্লিপ দেখান। তিনি যে নিয়মিত কর দেন, তার প্রমাণও আদালতে পেশ করেছেন। এছাড়া, ন্যাশনাল ইনসুরেন্সের নম্বরও রয়েছে তাঁর কাছে।

তাঁর স্বপক্ষে বলতে গিয়ে নীরব মোদী জানান, গত বছরের জানুয়ারি মাসে যখন তিনি ব্রিটেনে আসেন, তখনও তাঁর নামে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ভারতের তাঁর প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি এই কথাও বলেন যে, তিনি ব্রিটেনে আইনসম্মতভাবেই রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, তাঁর ছেলে গত পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করেছিল লন্ডনে। তিনি এখন ওখানেই কাজ করছেন এবং নিয়মিত আয়কর দেন। আদালতের কাছে হংকং ব্যাঙ্ক সহ তাঁর অন্যান্য ব্যাঙ্কের কার্ডও দেখান তিনি।

আদালতকে জানানো হয়, নিউ অক্সফোর্ড স্ট্রিটের ১০১০-এর ৪২ অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছেন তিনি।

.