৪ অপরাধীর প্রাণভিক্ষা না-মঞ্জুর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। (ফাইল)
হাইলাইটস
- ফাঁসি রুখতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ নির্ভয়া-কাণ্ডের ৩ অপরাধীর
- ২০ মার্চ সকাল ৫.৩০টায় ফাঁসি কার্যকরের নির্ঘণ্ট
- তার তিন দিন আগে ফের আইনি জটিলতা তৈরির চেষ্টায় ওই ৩ জন, বলছেন আইনজ্ঞরা
নয়া দিল্লি: কথাই আছে দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। সেই প্রবাদ সত্যি করতে ফাঁসির দিন তিনেক আগে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ নির্ভয়া-কাণ্ডের ৩ অপরাধী। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার সামনে ফাঁসি রদের আর কোনও বিকল্প খোলা নেই। তাই এবার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের দ্বারস্থ হল ওরা ৩ জন। হাতে আর মাত্র তিন দিন। শুক্রবার, ২০ মার্চ, সকাল ৫.৩০ টায় কার্যকর হবে মুকেশ, পবন, বিনয় ও অক্ষয়ের ফাঁসি। তাই আরও একবার শেষ মুহূর্তে আইনি জটিলতা টেনে ফাঁসি রুখতে তৎপর ওরা ৩। যদিও মুকেশ সিংয়ের তরফে এ বিষয়ে কোনও হেলদোল দেখানো যায়নি। তাহলে কি, নতুন কোনও ছলের আশ্রয় নিতে পারে ওই চতুর্থ অপরাধী? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আইনজ্ঞদের মনে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্ভয়া-কাণ্ডের চতুর্থ অপরাধী মুকেশ সিংকে স্পষ্ট করে দিয়েছিল, তার কাছে আর কোনও আইনি বিকল্প খোলা নেই। রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন না-মঞ্জুর করেছেন। আর সুপ্রিম কোর্ট তার কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করেছে। সেই সুপ্রিম নির্দেশ পাওয়ার পরই এদিন দুপুরে আন্তর্জাতিক কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওরা তিন জন।
ইয়েস ব্যাঙ্ক মামলায় সমন পাঠানো হল শিল্পপতি সুভাষ চন্দ্রকে
তবে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে সুরাহা মেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ, এমনটাই বলছেন আইনজ্ঞরা। সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে মুকেশ সিং আবেদন করেছিল, আমি কি নতুন কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল কোর্টে পারি? সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত বলেছে, পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ বলছে আর কোনও বিকল্প খোলা নেই। তুমি প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলে, সেটা খারিজ হয়েছে। মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিউরেটিভ পিটিশনও খারিজ হয়েছে। আর কী বিকল্প পড়ে থাকে? এর আগে ভারতীয় গুপ্তচর সন্দেহে পাক জেলে বন্দি কূলভূষণ যাদব মামলার শুনানি হয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে। সেই মামলার রায় ভারতের পক্ষেই গিয়েছে।
মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে “জাতির পিতা” বঙ্গবন্ধু অনুষ্ঠানে যোগ প্রধানমন্ত্রীর
এর আগে মোট ৩ বার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেও তা খারিজ করেছে দিল্লির এক আদালত। নির্ভয়া-কাণ্ডের ওই ৪ অপরাধীকে সব আইনি বিকল্পের পথ খুলে দিতে এই পথে হেঁটেছিল দেশের আদালত। কিন্তু আসতে, আসতে বন্ধ হয়েছে সব দরজাই। ফলে ফের একবার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে ২০ মার্চ ওই ৪ জনের ফাঁসির দিন চূড়ান্ত করে দিল্লির সেই আদালত।