শুক্রবার ফাঁসি সম্পন্ন হয় শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়।
হাইলাইটস
- অপরাধীদের মৃতদেহ তাদের পরিবারকে হস্তান্তর করা হল
- শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাদের ফাঁসি হয়
- ফাঁসির পরে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়
ময়না তদন্তের পরে নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) অপরাধীদের দেহগুলি হস্তান্তর করা হল তাদের পরিবারকে। তিহার জেলের (Tihar Jail) কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। মৃতদেহগুলির ময়না তদন্ত হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে। দিল্লির তিহার জেলে চার আসামি অক্ষয় ঠাকুর (৩১), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) ও মুকেশ সিংয়ের ফাঁসি সম্পন্ন হয় শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করা হয় ২৩ বছরের এক প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে। ঘটনার সাত বছর পরে অবশেষে ফাঁসি হল চার অপরাধীর। আরও দুই অভিযুক্তর মধ্যে রাম সিংহকে জেলের ভিতরে ঝুলন্ত ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্যজন ছিল নাবালক। তাকে তিন বছর সংশোধনাগারে রাখার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
‘মৃত্যুদণ্ড বার্তা দিল, অন্যায় করলে শাস্তি মিলবেই': নীলাঞ্জনা সান্যাল
এদিন ফাঁসির পরে নিয়ম মেনে তাদের দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় আরও ৩০ মিনিট। এরপর এক চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে।
তিহার জেলের মহানির্দেশক সন্দীপ গোয়েল বলেন, ‘‘চিকিৎসকরা মৃতদেহগুলি পরীক্ষা করে চারজনকেই মৃত ঘোষণা করার পরে তাদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের দেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।''
"আমি মেয়ের ছবিকে জড়িয়ে ধরেছিলাম": ৪ আসামির ফাঁসি কার্যকরের পর বললেন নির্ভয়ার মা
জেলের এক বর্ষীয়ান আধিকারিক জানাচ্ছেন, অক্ষয়ের দেহ বিহার আওরঙ্গবাদে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। মুকেশের মৃতদেহ তার পরিবার রাজস্থানে নিয়ে যাবে। বিনয় আর পবনের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে দক্ষিণ দিল্লির রবিদাস ক্যাম্পে তাদের বাড়িতে।
এদিন আসামিদের পরিবার হাসপাতালে যায় ময়না তদন্তের নথির জন্য। হাসপাতাল ও মর্গে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বন্দিশালা তিহার জেলের ইতিহাসে নয়া অধ্যায় রচিত হল এই ফাঁসির মাধ্যমে। এই প্রথম এখানে একসঙ্গে চারজনের ফাঁসি হল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে গোটা জেলেই লকডাউন করে দেওয়া হয়। এই জেলে রয়েছে প্রায় ১৬,০০০ কয়েদি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)