বিনয় শর্মার আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতে।
হাইলাইটস
- নির্ভয়া মামলার আসামী বিনয় শর্মার আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত
- তার প্রাণভিক্ষা খারিজের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আর্জি জানিয়েছিল সে
- চার অপরাধীর ফাঁসি স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত
New Delhi: প্রাণভিক্ষার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya Case) অন্যতম অপরাধী বিনয় শর্মার (Vinay Sharma) আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। নির্ভয়া মামলায় অন্যতম দোষী সাব্যস্ত বিনয়। তার তরফে আর্জি জানানো হয়, তার প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার সময় তার মানসিক স্থিরতার বিষয়টি বিবেচনা করেননি রাষ্ট্রপতি। কেন্দ্রের তরফে এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে জানানো হয় বিনয় শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ফিট। বিনয়ের দাবি ছিল, তাকে জেলে এমন অত্যাচার করা হয়েছে, যার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এটাই ফাঁসির হাত থেকে বাঁচাতে বিনয় শর্মার শেষ পদক্ষেপ ছিল। ২৩ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বিনয় সহ চার অপরাধীকে।
Nirbhaya Case: ফাঁসি রদে ১ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করতে হবে সমস্ত আইনি চেষ্টা, বলল দিল্লি আদালত
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বিনয় এবং তার সঙ্গীরা। অপরাধীদের তরফে আদালেত জানানো হয়, তাদের মধ্যে একজনের মানসিক অস্থিরতার প্রসঙ্গটি রাষ্ট্রপতির কাছে জানানো হয়নি। ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের তরফে এক মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিয়ে বলা হয়, এদের মধ্যে কারওই কোনও মানসিক অসুখ নেই। // বারবার পিটিশনের পর পিটিশন দাখিল করে ফাঁসি এড়ানোর চেষ্টা করছে অপরাধীরা, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই নিয়ে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।
Nirbhaya Case: "ওঁর মতো মানুষের কারণেই ধর্ষণের শিকাররা সুবিচার পান না": কার কথা বললেন নির্ভয়ার মা?
গত মাসে অপরাধীদের আইনজীবী এপি সিংহ নির্ভয়ার মা আশা দেবীকে ব্যঙ্গ করে বলেন, ফাঁসি কখনওই হবে না।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চার অভিযুক্ত মুকেশকুমার সিংহ (৩২), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয়কুমার শর্মা (২৬) ও অক্ষয় কুমারের (৩১) ফাঁসি স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত।
২০১২ এর ১৬ ডিসেম্বর, দিল্লিতে প্যারামেডিক্যালের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং অকথ্য অত্যাচার করা হয় চলন্ত বাসে, পরে তাঁকে সেখান থেকে ছুঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়, সেই সময় তিনি নগ্ন এবং রক্তাক্ত ছিলেন। ২৯ ডিসেম্বর নির্ভয়ার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে।