Read in English
This Article is From Feb 18, 2020

Nirbhaya Case: চার অপরাধীর ফাঁসি ৩ মার্চ ভোর ৬টায়

নির্ভয়া মামলার চার অপরাধীর ফাঁসি ৩ মার্চ ভোর ৬টায়। নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে জানিয়ে দিল দিল্লি আদালত।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সোমবার আদালত ওই অপরাধীদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে।

Highlights

  • নির্ভয়া মামলার অপরাধীদের নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি
  • ফাঁসি হবে ৩ মার্চ ভোর ৬টায়
  • সোমবার তৃতীয় বারের জন্য তাদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করল আদালত
নয়াদিল্লি:

নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) চার অপরাধীর ফাঁসি ৩ মার্চ ভোর ৬টায় (Nirbhaya Convicts To Now Hang On March 3)। নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে জানিয়ে দিল দিল্লি আদালত। ২৩ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ ‌ও নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয় বার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হল। এর আগে দু'বার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হলেও শেষ মুহূর্তে ফাঁসি স্থগিত হয়েছে। অপরাধীরা চেষ্টা করেছে সম্ভাব্য সব রকম আইনি সুযোগ পাওয়ার। সোমবার তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতকে জানানো হয়, চার অপরাধী— বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা, মুকেশ সিংহ ও অক্ষয় সিংহ তাদের সমস্ত আইনি সুযোগ ব্যবহার করে ফেলেছে এবং তাদের কারও কোনও আবেদন কোনও আদালতে অমীমাংসিত অবস্থায় নেই। এরপরই আদালত জারি করে মৃত্যু পরোয়ানা।

এখনও এক অপরাধী রাষ্ট্রপতির খারিজ করা প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিরুদ্ধে আবেদন করেনি। কিন্তু হাইকোর্ট তাদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার জন্য। সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

নির্ভয়ার মা আশা দেবী জানিয়েছেন, ‘‘আমি আশা করি এটাই ফাঁসির চূড়ান্ত তারিখ হতে চলেছে।'' তিনি বলেন, আদালতের রায়ে তিনি খুশি।

Advertisement

অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালতের দেওয়া এক সপ্তাহের মেয়াদ শেষ হতেই নতুন মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতে আর্জি জানান নির্ভয়ার বাবা-মা।

অন্যতম অপরাধী বিনয় শর্মা তিহার জেলে অনশন শুরু করে রাষ্ট্রপতির কাছে খারিজ প্রাণভিক্ষার আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার আবেদনও খারিজ হওয়ার পর।

Advertisement

বিনয়ের দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতি জেলে থাকাকালীন তার মানসির স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র এক মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করে। তাতে দেখা যায়, বিনয়ের মানসিক স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওই চারজন ছাড়াও, এই গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পঞ্চম অপরাধী রাম সিং, জেলবন্দি থাকাকালীনই আত্মহত্যা করে, আর ষষ্ঠ অপরাধী, অপরাধ করার সময় তাঁর বয়স ১৮ বছরের কম থাকায়, তাকে সংশোধনাগারে রাখার তিন বছর পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

গত ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের এক তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লিতে। ফেরার পথে তাঁরা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় একটি ফাঁকা বেসরকারি বাসে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। বাসে ছিল ছ'জন ব্যক্তি। এরপর তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাঁর সঙ্গীও আহত হন। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমানুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে।

নির্ভয়া মামলা কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। ওই তরুণীর উপরে হওয়া নিষ্ঠুরতায় শিহরিত হয়েছিল সকলে। এর ফলে এই সংক্রান্ত আইনেও কিছু পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি নাবালকদের ক্ষেত্রেও আইনের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলানো হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের সাবালকদের মতো করে বিচার করার কথা ভাবা হয়।

Advertisement