This Article is From Mar 02, 2020

“তামাশা দেখছে আদালত”, ফাঁসি কার্যকরে বিলম্ব নিয়ে বললেন নির্ভয়ার মা

২০১২ গণধর্ষণ ও খুনে (2012 Nirbhaya gang rape and murder case) চার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসি, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে দিল দিল্লি আদালত

“তামাশা দেখছে আদালত”, ফাঁসি কার্যকরে বিলম্ব নিয়ে বললেন নির্ভয়ার মা

মা আশাদেবী (Asha Devi) বলেন, সাজাপ্রাপ্তদের সাজা কার্যকরে দেরিতেই ভারতীয় বিচারব্যবস্থার “অকার্যকারিতার” প্রমাণ।

নয়াদিল্লি:

২০১২ গণধর্ষণ ও খুনের (Nirbhaya Gangrape Case) ঘটনায় চার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসির সাজা পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে দিল্লি আদালত, সোমবার সেই রায়ের পরেই নির্ভয়ার মা আশাদেবী (Asha Devi) বলেন, সাজাপ্রাপ্তদের সাজা কার্যকরে দেরিতেই ভারতীয় বিচারব্যবস্থার “অকার্যকারিতার” প্রমাণ। এদিন তৃতীয়বার সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি স্থগিত হতেই আদালতের বাইরে আশাদেবী বলেন, “এর মধ্যে দিয়ে আমাদের ব্যবস্থার অকার্যকারিতা বোঝা যায়। গোটা বিশ্ব দেখছে, ভারতে কীভাবে ন্যায়বিচার বিলম্বিত হয়। এই ব্যবস্থা অপরাধীদের সমর্থন করছে”। তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিনই আশাহত হচ্ছেন” তিনি, তবে যাই করুক না কেন, অপরাধীরা সাজা পাবেই।

আশাদেবী বলেন, “প্রতিদিনই আমি আশাহত হচ্ছি., তবে প্রতিদিনই উঠে দাঁড়াচ্ছি। তাদের ফাঁসি হবেই। নির্ভয়ার থেকে খারাপ ঘটনা হতে পারে না, তবুও আমি এখনও ন্যায়ের জন্য লড়াই করছি। তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের করে দেওয়া হয়েছিল, তবুও আদালত বসে তামাশা দেখছে”।

নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ সিং বলেন, “তিনি একজন মা। তাঁর যন্ত্রণা কেউ বুঝবে না। এমনকী আমিও না। আমি তাঁকে বলছি, আমরা ন্যায়বিচার পাব, তবে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য যে যন্ত্রণা পান, তা ভোলানো খুবই কঠিন”।

সোমবার, ২০১২ গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসি স্থগিত করে দেয় দিল্লি আদালত।

মঙ্গলবার সকাল ৬টায় চারজনের ফাঁসির কথা ছিল।

অতিরিক্ত দায়েরা বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না, কারণ, পব গুপ্তার প্রাণভিক্ষার আর্জি বকেয়া পড়ে রয়েছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে, ফলে তাদের পুরো আইনি রক্ষা কবচ চেষ্টা সম্পন্ন হয়নি।

ফাঁসি রদের আবেদন জানিয়েছিল পবন গুপ্তা, সেই মামলারই শুনানিতে এই রায় আদালতের, সোমবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় পবন গুপ্তা।

এর আগেও দুবার ফাঁসির দিন ধার্য হয়েও, পরে তা পিছিয়ে যায়, প্রথম দিন ছিল ২২ জানুয়ারি, পরে তা ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি, দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, সমস্ত আইনি রক্ষা কবচের জন্য সাজাপ্রাপ্তদের হাতে এক সপ্তাহ সময় রয়েছে,তারমধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে  প্রাণভিক্ষার আর্জি, এবং আদালতের তরফে জানানো হয়, সাজাপ্রাপ্তদের আলাদা করে ফাঁসি দেওয়া যাবে না।

.