This Article is From Jan 29, 2020

Nirbhaya Case: এবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন অপরাধী বিনয় শর্মার

Nirbhaya case: নির্ভয়া-কাণ্ডের চার অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করতে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির এক আদালত। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি, সকাল ৬টা ঠিক হয়েছে, ফাঁসি কার্যকরের নির্ঘণ্ট। তার মধ্যেই ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেছে এক অপরাধী।

Nirbhaya Case: এবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন অপরাধী বিনয় শর্মার

Nirbhaya Case: পয়লা ফেব্রুয়ারি বিনয় শর্মার ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা।

হাইলাইটস

  • নির্ভয়া-কাণ্ডে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ বিনয় শর্মা
  • অপর এক অপরাধীর কিউরেটিভ পিটিশন বৃহস্পতিবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
  • পয়লা ফেব্রুয়ারি, সকাল ৬টায় এই চার অপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়েছে
নয়াদিল্লি:

নির্ভয়া-কাণ্ডের (Nirbhaya case) চার অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করতে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির এক আদালত। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি, সকাল ৬ টায় ঠিক হয়েছে ফাঁসি কার্যকরের নির্ঘণ্ট। তার মধ্যেই ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেছে এক অপরাধী। আরও এক অপরাধী বিনয় শর্মা (Vinay Sharma) প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির (Ram Nath Kovind) দ্বারস্থ। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বৃহস্পতিবার কিউরেটিভ পিটিশন পর্যালোচনা করবে। বুধবার বিনয় শর্মার আইনজীবী এপি সিং বলেছেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি (President) রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে আমার মক্কেল। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্ষয় ঠাকুর যেহেতু কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেছে, তাই ফের পিছোতে পারে ফাঁসির দিনক্ষণ। ওই চারজনের ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকরের দিন চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু আইনি জটে সেই নির্ঘণ্ট পিছিয়ে হয়েছে পয়লা ফেব্রুয়ারি। ক্রমাগত ফাঁসি কার্যকরের দিন পিছনোয় সমালোচনার মুখে পড়েছে আইনি ব্যবস্থা। সমাজকর্মী থেকে নির্ভয়ার পরিবারের সদস্যরা "মৃত্যুদণ্ড পিছনোর কৌশল" বলে মন্তব্য করেছেন। নির্ভয়ার মা আশা দেবীর মন্তব্য, "সময় নষ্ট করতে এসব করছে অপরাধীরা।"

Nirbhaya Case: মুকেশ সিংয়ের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট, অক্ষয়ের কিউরিটিভ পিটিশনে এখনও মেলেনি রায়

তিনি বলেছেন, "সবসময় আমি কেন ভুগব।" এর আগে দিল্লি সরকার, রাষ্ট্রপতি আর সুপ্রিম কোর্টের কাছে আশা দেবীর আবেদন করেছিলেন, যাই হয়ে যাক, ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হোক ওই চার অপরাধীকে। কিন্তু সেই দিন পিছিয়ে গিয়েছে। এবার আগামী ফাঁসির দিন ঘিরেও টানাপড়েন তুঙ্গে। যদিও তিহার জেলে এখন জরুরি ভিত্তিতে চলছে প্রস্তুতি। মীরাটের ফাঁসুড়ে আর বিহারের দড়ি, ব্যবহার করা হবে এই ফাঁসি কার্যকর করতে।     

এদিকে, জানা গেছে, অক্ষয় ঠাকুরের আবেদন বদ্ধ ঘরে শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। এজলাসে হবে না কোনও শুনানি। সেদিন যদি তার আবেদন খারিজ হয়, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার পথ খোলা। সেই জটে ফের পিছবে ফাঁসির দিন, আশঙ্কা করছেন বিশারদরা। ২০১২ সালের এই ঘটনায় ৬ অপরাধী জড়িত ছিল। যাদের মধ্যে একজন, অপরাধের দিন নাবালক ছিল। ফলে কিশোর সংশোধনাগারে তাকে তিন বছর কাটাতে হয়েছে। আপাতত সে মুক্ত। মূল অভিযুক্ত রাম সিংয়ের বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছিল। তিহার জেলে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

Nirbhaya Case: "জেলের ভোগান্তি ক্ষমা প্রার্থনার পক্ষে যুক্তি হতে পারে না": বলল সুপ্রিম কোর্ট

অপরদিকে, গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল, ফাঁসির অপরাধীদের জন্য বর্তমান নিয়ম সংশোধন করুক আদালত। চলতি নিয়মে ফাঁক গলে সময় কিনছে অপরাধীরা। আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে  খেলছে। সংশোধনীতে যাতে সেই সুযোগ না থাকে নিশ্চিত করুক আদালত। 

.