এশিয়ার বৃহত্তম কারাগার চত্বর তিহারের ৩ নম্বর জেলে এই পরীক্ষা করা হয়েছে
নয়াদিল্লি: আর বাকি মাত্র ৯ দিন। তারপরেই ৪ আসামীর প্রাণপদীপ নিভে যাবে এক লহমায়। ২০১২ সালে Nirbhaya গণধর্ষণ ও হত্যার নেপথ্যে থাকা মূল ৪ জন আসামীর মৃত্যুদণ্ডের আগে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল ফাঁসির মহড়া (dummy execution)। ২২ জানুয়ারি দিল্লির তিহার জেলে (Tihar Jail) হবে মূল ফাঁসি। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পবন গুপ্ত, অক্ষয়, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংকে ২২ জানুয়ারি সকাল ৭ টায় ফাঁসি দেওয়া হবে। চলতি মাসের শুরুর দিকেই দিল্লির আদালতে এই চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
“অনেক কেঁদে পাথর হয়ে গিয়েছি”, সাজাপ্রাপ্তদের আবেদন নিয়ে বললেন নির্ভয়ার মা
এই চার আসামীর ওজন অনুসারে ইঁট, কাঠ মাটি, ধুলো ও পাথর বোঝাই বস্তা তৈরি করা হয়েছিল। সেই বস্তা দিয়েই কারা কর্তৃপক্ষ মূল ফাঁসির আগে মহড়া করে সব ঠিকঠাক প্রস্তুত কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেছে। ফাঁসির আগে এভাবেই ‘ডামি মৃত্যুদণ্ড' পরিচালনা করে দেখা হয়। এশিয়ার বৃহত্তম কারাগার চত্বর তিহারের ৩ নম্বর জেলে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। এখানেই ৪ আসামীর ফাঁসি হবে। এই ৩ নম্বর জেলেই ২০১৩ সালে সংসদ হামলার আসামী আফজল গুরুকেও ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হবে।
উত্তরপ্রদেশ কারাগার কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে মীরাট থেকে আগত পবন জল্লাদ এই চার আসামীকে ফাঁসিতে ঝোলাবেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এ কথা জানিয়েছেন কারাগারের এক প্রবীণ আধিকারিক।
৭ বছর পর, ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি
এই আধিকারিক জানান, আসামীরা সুস্থ মানসিক অবস্থার মধ্যে রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
সুপ্রিম কোর্ট আগামিকাল মৃত্যুদণ্ডের আগে দু'জনের মুক্তির জন্য শেষ আইনি বিকল্পের আবেদনের শুনানি করবে শুনবে।
বিনয় শর্মা এবং মুকেশ তাদের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন।