Read in English
This Article is From Jan 25, 2020

Nirbhaya Case: "প্রাণভিক্ষা খারিজ কেন?" জানতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ এক অপরাধী

"আমার প্রাণভিক্ষা কেন খারিজ করা হয়েছে?" এমনটা জানতে চেয়ে ফের আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ নির্ভয়া-কাণ্ডের (Nirbhoya Case) এক অপরাধী। জানা গেছে, অন্যতম অপরাধী মুকেশ সিং (Mukesh Singh) শনিবার সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন করেছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

নির্ভয়া-কাণ্ড: আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় কার্যকর হবে ওই চারজনের ফাঁসি।

Highlights

  • ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্ভয়া-কাণ্ডের এক অপরাধী
  • কেন তাঁর প্রাণভিক্ষা খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত, আদালতে জানতে চেয়েছে সে
  • আবেদন করা হয়েছে পয়লা ফেব্রুয়ারির জন্য জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা খারিজের
নয়াদিল্লি:

"আমার প্রাণভিক্ষা কেন খারিজ করা হয়েছে?" এমনটা জানতে চেয়ে ফের আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ নির্ভয়া-কাণ্ডের (Nirbhoya Case) এক অপরাধী। জানা গেছে, অন্যতম অপরাধী মুকেশ সিং (Mukesh Singh) শনিবার সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন করেছে। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত ও রাষ্ট্রপতি যে প্রাণভিক্ষার আবেদন না-মঞ্জুর করেছে, তার বিরোধিতাও করা হয়েছে ওই আবেদনে। দাবি করা হয়েছে, পয়লা ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকরে যে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল, তাও খারিজ করুক আদালত। এদিন মুকেশ সিংয়ের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার বলেছেন, "মুকেশ সিং, সুপ্রিম কোর্ট তার যে প্রাণভিক্ষা না-মঞ্জুর করেছে, তার বিরোধিতা করেছে।" টানা হয়েছে শত্রুঘ্ন চৌহান মামলার প্রসঙ্গও। সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার অধীনে এই আবেদন।  

জানা গেছে, মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিং আর পবন গুপ্ত- এই চার অপরাধীর ফাঁসি আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি কার্যকর হবে। নির্ভয়া-কাণ্ডে ছয় জন জড়িত থাকলেও, একজনের দেহ তিহার জেলে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল। একজন নাবালক। ২০১৬ সালে, তাকে কিশোর সংশোধনাগার থেকে ছাড়া হয়েছে। জানুয়ারির ১৭ তারিখ মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষা খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

Nirbhaya Case: ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের শেষ ইচ্ছা শোনার অপেক্ষায় দেশ

Advertisement

এর আগে দুই অপরাধীর কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই চার জনের ফাসির দিন আগে ধার্য হয়েছিল ২২ জানুয়ারি । এর পরেই ফের সুপ্রিম কোর্টে পৃথকভাবে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে মুকেশ সিং। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি সরকার আদালতের কাছে নতুন ফাঁসির দিন চেয়ে আবেদন করে। তাদের অভিযোগ ছিল, প্রক্রিয়া দীর্ঘ করতে এই পথে হাঁটছে অপরাধীরা। এরপর মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষা না-মঞ্জুর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নতুন মৃত্যু পরোয়ানা আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারির জন্য জারি করা হয়। এই টালবাহানা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন নাগরিক সমাজ। যে তালিকায় নির্ভয়ার বাবা-মা আছেন। "সবসময় আমি কেন ভুগব?" সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন অনুযোগ করতে দেখা গিয়েছে নির্ভয়ার মা আশা দেবীকে। 

Nirbhaya Case: ক্রমাগত 'মৃত্যুদণ্ড' পিছতে চাইছে অপরাধীরা, আদালতকে বললেন সরকারি আইনজীবী

Advertisement

এদিকে, এদিন আবার দিল্লির এক আদালত ওই কাণ্ডের অপর এক অপরাধীর সাম্প্রতিক আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেই অপরাধীর দাবি, "মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, বিচার প্রক্রিয়া, প্রাণভিক্ষা খারিজ-- সংক্রান্ত নথি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।" এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি আইনজীবীর অভিযোগ, "ফাঁসি কার্যকরে অযথা বিঘ্ন আনতে এই কৌশল।" সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর।  গত সপ্তাহে কেন্দ্র, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবেদন ছিল; ফাঁসির অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে অযথা ফাঁসি কার্যকরে বিঘ্ন ঘটাতে সক্রিয়। তাই বর্তমান গাইডলাইনে কিছু সংশোধন আনা হোক।কেন্দ্রের যুক্তি ছিল বর্তমান গাইডলাইন আইনের সঙ্গে খেলতে অপরাধীদের সাহায্য করছে। 

Advertisement

Advertisement