আগামী ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়া কাণ্ডের চার অপরাধীর।
নয়াদিল্লি: আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya Case) চার অপরাধীর। তার আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাল অন্যতম অপরাধী মুকেশ সিংহ। এদিনই ফাঁসি রদে মুকেশের শেষ আইনি প্রচেষ্টা- কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাল সে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন অপরাধী এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়নি। বিচারপতি এনভি রামানার পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এদিন মুকেশ সিংহ ও বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আর্জি নাকচ করে দেয়। আর্জিতে অপরাধীরা জানিয়েছিল, তাদের ফাঁসির রায়কে স্থগিত রাখা হোক। সেই সঙ্গে তাদের দাবি ছিল, প্রচলিত পদ্ধতির কক্ষের ভিতরের শুনানির পরিবর্তে মৌখিক শুনানির। দু'টি আবেদনই নাকচ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
গত সপ্তাহে দিল্লি আদালত চার অপরাধীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। তারপরই এই কিউরেটিভ পিটিশন জারি করা হয়। চার অপরাধী— মুকেশ সিংহ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয়কুমার সিংহর ফাঁসির সময় ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটা।
Nirbhaya Case: শীর্ষ আদালতে খারিজ দুই ধর্ষকের প্রাণভিক্ষার আর্জি
এই মামলার আর এক অভিযুক্ত রাম সিংহকে তার সেলের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ষষ্ঠ জন ছিল নাবালক। অপরাধের সময় ১৮ হতে তার সামান্যই বাকি ছিল। তিন বছর সংশোধনাগারে থাকার পর সে মুক্তি পেয়ে যায়। গত ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের এক তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লিতে। ফেরার পথে তাঁরা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় একটি ফাঁকা বেসরকারি বাসে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। বাসে ছিল ছ'জন ব্যক্তি। এরপর তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাঁর সঙ্গীও আহত হন। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমানুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে।
নির্ভয়া মামলা কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। ওই তরুণীর উপরে হওয়া নিষ্ঠুরতায় শিহরিত হয়েছিল সকলে। এর ফলে এই সংক্রান্ত আইনেও কিছু পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি নাবালকদের ক্ষেত্রেও আইনের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলানো হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের সাবালকদের মতো করে বিচার করার কথা ভাবা হয়।