Nirbhaya Execution: বিনয় শর্মা, মুকেশ কুমার, অক্ষয় কুমার সিংহ এবং পবন গুপ্তকে আগামী বুধবারই সকাল সাতটায় তিহার জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে ঠিক ছিল
নয়াদিল্লি: ২২ তারিখ ফাঁসি হচ্ছে না দিল্লির নির্ভয়া (Nirbhaya case) গণধর্ষণকাণ্ডের ৪ আসামির। দিল্লি সরকার বুধবার হাইকোর্টকে জানিয়েছে যে, আসামীদের মধ্যে একজন ফাঁসি মকুবের আবেদন করেছেন। সেই কারণে ২২ জানুয়ারি যে ফাঁসি নির্ধারিত হয়েছিল, নির্ভয়া মামলার চার আসামির ওই ফাঁসি কার্যকর হবে না। বিনয় শর্মা, মুকেশ কুমার, অক্ষয় কুমার সিংহ এবং পবন গুপ্তকে আগামী বুধবারই সকাল সাতটায় তিহার জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে, দিল্লির একটি আদালত গত সপ্তাহেই এই রায় দিয়েছিল। ২০১২ সালে যুবতী মেডিকেল ছাত্রীকে চলন্ত বাসে চরম নির্যাতন করে গণধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় করার সাত বছর পরে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
গতকালই আসামি মুকেশ সিং ফাঁসি মকুবের আবেদন করে আদালত। তা প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরেও কোনও অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে ১৪ দিনের নোটিশ দিতে হবে বলেই নিয়ম। বিচারপতি মনমোহন এবং সঙ্গীতা ধিংড়া শেহগালকে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্র জানিয়েছিল যে গতকাল, মঙ্গলবার আসামি মুকেশ সিং নিজের মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানাকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন দায়ের করেন সেটি ‘প্রিম্যাচিওর'।
তিহার জেল জানিয়েছে, এই নিয়মের অধীনে, মৃত্যুর পরোয়ানা কার্যকর করার আগে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমা করার আবেদনের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দিল্লি সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী রাহুল মেহরা বলেন, “রাষ্ট্রপতি যদি আসামির ক্ষমা ভিক্ষা প্রত্যাখ্যান করে দেন, তার পরেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ভাগ্য চূড়ান্ত হবে।" আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, দায়ের করা আবেদনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলে ২২ জানুয়ারি চার জনের কাউকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না।
রাহুল মেহরা আদালতকে জানিয়েছিলেন যে দোষীরা যেভাবে আলাদা আলাদা করে তাদের ক্ষমা করার আবেদন করছেন বোঝাই যাচ্ছে তা “আইনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার” কৌশল মাত্র। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবারই মুকেশ ও বিনয়ের ক্ষমার আবেদন খারিজ করে তাদের শেষ আইনি বিকল্প বন্ধ করে দেয়।
নির্ভয়ের মা রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে মুকেশ সিংয়ের ক্ষমার আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তারা যে আদালতে যাক না কেন, নির্ধারিত দিনেই তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে।"