গত বছর দিল্লি হাইকোর্টে নিজেকে 'নাবালক' দাবি করে দরবার করেছিল পবন গুপ্তা। সেই দাবি খারিজ হলে এবার সুপ্রিম কোর্টে দরবার করে ওই অভিযুক্ত।
নয়াদিল্লি: শুক্রবার নতুন ফাঁসির দিন ঘোষণা করেছে আদালত। পয়লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ছ'টায় কার্যকর হবে মৃত্যুদণ্ড। তাও হাল ছাড়তে নারাজ নির্ভয়া-কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী পবন গুপ্তা। ১৬, জানুয়ারি ২০১২-তে সে 'অপ্রাপ্তবয়স্ক' বা 'নাবালক' ছিল। নিজেকে 'নিরীহ' দাবি করে এভাবেই (Minor) শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পবন গুপ্তা। গত বছর একই দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই অপরাধী। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করেছিল হাইকোর্ট। সেই দাবি প্রমাণে এবার শীর্ষ আদালতে পবন গুপ্তা। গত সপ্তাহে দিল্লির এক আদালত ওই চার জনের ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন স্থির করেছিল। জারি করেছিল মৃত্যু পরোয়ানাও।
Nirbhaya Case:"রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এই ঘটনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে": ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা
কিন্তু আইনি বেড়াজালে ফের পিছতে হয়েছে ফাঁসির দিন। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে। প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করেছেন রাষ্ট্রপতিও। তারপরেই আবার নতুন ফাঁসির দিন ধার্য করেছে নিম্ন আদালত। কবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে, ফাঁসির আসামিদের ১৫ দিন আগে জানাতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই নতুন নির্ঘন্ট। আইনে বলা, যেদিন রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন না-মঞ্জুর করবেন, সেদিনই জারি হবে মৃত্যু পরোয়ানা। আর সেই মোতাবেক ১৫ দিনের ব্যবধানে কার্যকর করতে হবে সেই পরোয়ানা।
Nirbhaya case: ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬ টায় ফাঁসি নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার ৪ আসামির
যদিও বৃহস্পতিবার নির্ভয়ার মা আশা দেবী দাবি করেছিলেন, ফাঁসির দিন আর যাতে পরিবর্তিত না হয়। তিনি জানিয়েছিলেন, "আইনের ফাঁক গলে অপরাধীরা নিজেদের বাঁচানোর একাধিক সুযোগ পাচ্ছে । কিন্তু আমার মতো যাঁরা কোর্টের চক্কর কাটতে-কাটতে ক্লান্ত, তাঁদের ন্যায় পাওয়া জরুরি।" তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, "আমার মেয়ের অপরাধীদের সাজা আমি দেবই। তিহার জেল আর দিল্লি সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য আমি কেন ভুগব?"