নির্ভয়া-কাণ্ড: পয়লা ফেব্রুয়ারি সকাল ৬ টায় কার্যকর হবে মৃত্যুদণ্ড।
হাইলাইটস
- ফের নথি চেয়ে আবেদন করে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া পেছনোই উদ্দেশ্য
- আদালতে শনিবার দাবি করেছেন সরকারি আইনজীবী
- নির্ভয়া-কাণ্ডে চার অপরাধীর ফাঁসি আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি সকাল ৬ টায় হবে
নির্ভয়া-কাণ্ডে (Nirbhaya-Case) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সংক্রান্ত সব নথি দেখতে চেয়ে তিহার জেলকে (Tihar Jail) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের আইনজীবীর তরফে সেই নথি চাওয়া হয়েছে। একই আবেদন করা হয়েছে দিল্লির একটি আদালতে। সেই আবেদনের শুনানিতে আদালত বলেছে, তিহার জেলকে আর কোনও নির্দেশ পাঠানো হবে না। বিচারক অজয় কুমার শুক্রবার বলেছেন, অপরাধীদের (Four Convicts) আইনজীবী মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত সব নথির ছবি তুলে রাখতেন পারবেন। কিন্তু কুরিয়ার বা হাতে হাতে আর কোনও নথি হস্তান্তর করা হবে না। এই শুনানিতে সরকারি আইনজীবী, দিল্লি পুলিশের তরফে, দাবি করেছেন একাধিকবার ওই নথি অপরাধী ও তাদের আইনজীবীদের হাতে তুলে দিয়েছে তিহার জেল।
এই আবেদন করে আদতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রক্রিয়া 'দেরি' করাতে চায়। এমন অভিযোগ আদালতে এদিন করেছেন ওই সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, "আইনকে ফাঁকি দিতে এই পন্থার অবলম্বন করছে অপরাধী পক্ষ। আমরা ইতিমধ্যে সব নথি হস্তান্তর করেছি। এমনকি গোটা বিচার প্রক্রিয়ায় অপরাধীরা যে যে জেলে ছিল, সেসব জেলেও আমরা নথি পাঠিয়ে দিয়েছি।" এই শুনানিতে সরকারি আইনজীবী এই ঘটনার অন্যতম অপরাধী বিনয় শর্মার একটা ডায়েরি আদালতে পেশ করেন। নিজেকে 'হিংস্র' সম্বোধন করেছে ওই অপরাধী। পাশাপাশি নিজের আঁকা ছবি ও পারিবারিক নথির তথ্য উদ্ধৃত আছে ওই ডায়েরিতে। তাঁর আবেদন, "এরপর আদালত যদি নির্দেশ দেয় তাহলে এই নথিগুলো আমরা পাঠিয়ে দেবো।"
Nirbhaya Case: ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের শেষ ইচ্ছা শোনার অপেক্ষায় দেশ
এরপর অপরাধীদের তরফে আইনজীবী এপি সিং অভিযোগ করেছেন, "বিনয় সিংকে বিষ প্রয়োগে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। ও চিকিৎসাধীন ছিল। সেই হাসপাতাল নথি আমরা এখনও হাতে পাইনি। শুধু বিনয় না নির্ভয়া-কাণ্ডের ওপর অপরাধী পবন গুপ্তার মাথায় আঘাত ছিল। সে যখন মান্দলি জেলে ছিল তখন তার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় পবনও চিকিৎসাধীন ছিল। কিন্তু সেই নথি আমরা হাতে পাইনি।"
উত্তরপ্রদেশে নববধূকে অপহরণ করে পাঁচদিন ধরে ধর্ষণ
তাঁর আরও দাবি, "বিনয়, অক্ষয় আর পবন, যে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল আর সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেছিল, সেই নথি আমাদের হাতে আসেনি।" ২০১২-র এক শীতের রাতে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণ হয়েছিলেন এক তরুণী। পরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান ওই তরুণী। এই নিয়ে সে সময় প্রবল নাগরিক আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল দেশ। ঘটনার দিন দুয়েকের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় ছয় অপরাধীকে। যাদের মধ্যে একজন নাবালক ছিল। পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত রাম সিংয়ের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় তিহার জেলে উদ্ধার হয়েছিল।