தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jan 20, 2020

'কতবার নাবালকত্ব প্রমাণ করবেন!', Nirbhaya কাণ্ডের অপরাধীকে সুপ্রিম ভর্ৎসনা

প্রতিবার একই কথা বলছেন। আর কতবার নিজের নাবালকত্ব প্রমাণ করবেন?

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Nirbhaya Case: একজন অপরাধী নাবালিক

নয়া দিল্লি:

রায়দানে আর সামান্য দেরি। কিছুক্ষণের মধ্যেই Pawan Kumar Gupta-র আবেদনের শুনানি জানাবে Supreme Court। তার আগে ১ ফেব্রুয়ারি Nirbhaya Case-এ ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী পবনের প্রতি  ভর্ৎসনা সর্বোচ্চ আদালতের, 'প্রতিবার একই কথা বলছ। আমরা শুনছি। আর কতবার নিজের নাবালকত্ব প্রমাণ করবে?' এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন খারিজ হয়ে গেছে পবনের। সেখানেও তার আবেদন ছিল, ঘটনার সময় সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাই অন্যদের সমান শাস্তি তার জন্য নয়। এরপরেই পবন আবেদন জানায় শীর্ষ আদালতে। স্কুল সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রমাণ দেয়, নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তখন সে নাবালক। তাই মকুব করা হোক ফাঁসির সাজা। এদিকে তার বয়সের শংসাপত্র বলছে ২০১২-য় পবনের বয়স ছিল ১৮। অর্থাৎসসে সাবালক। এবং স্কুলের শংসাপত্র অনুযায়ী ১৯ বছরে স্কুল ছেড়ে দেয় সে। যদিও মক্কেলের হয়ে সওয়ালের সময় আইনজীবী AP Singh-এর দাবি, নির্ভয়া কাণ্ডের সময় তার মক্কেল নাবালকই ছিল।

নির্ভয়া মামলায় নাবালক বলে দাবি করা আসামির আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

অন্যদিকে, অপরাধীর এই আচরণের বিরোধিতা করেছেন সলিসিটার জেনারেল Tushar Mehta। দিল্লি পুলিশের হয়ে তাঁর সওয়াল, বিচারের প্রত্যেক ধাপে পবন ক্রমাগত নিজেকে নাবালক প্রমাণে মরিয়া। এভাবে বারবার তাকে সুযোগ দেওয়া হলে ন্যআয়বিচার প্রহসনে পরিণত হবে। অন্যায় হবে নির্ভয়ার সঙ্গে। তাঁর আরও দাবি, যেভাবে অত্যাচার করে মেরেছে সে নির্ভয়াকে, তাতে একবারও কি মনে হয় পবন নাবালকের মতো কাজ করেছে? একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, পবনের মা-বাবা জানিয়েছেন, ২০১২-য় পবন সাবালক ছিল। ১৮ বছর বয়স ছিল তার। যদিও নির্ভয়া কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ছয় অপরাধীর একজন পবন এর আগে নিজের নাবালকত্ব প্রমাণ করে তিন বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। সেসময়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিল গোটা দেশ।

Advertisement

গত শুক্রবার ফের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পবন। যাতে ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ছ-টায় ঘোষিত ফাঁসির সাজা থেকে রেহাই পায় সে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের এক তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লিতে। ফেরার পথে তাঁরা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় একটি ফাঁকা বেসরকারি বাসে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। বাসে ছিল ছ'জন ব্যক্তি। এরপর তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাঁর সঙ্গীও আহত হন। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমানুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে। 

Advertisement