নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় দণ্ডিত চারজনকে ফাঁসি দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- আগামী ২২ জানুয়ারি নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামির ফাঁসি হবে
- জেলবন্দি থাকাকালীন ২৩ বার কারাগারের বিধিভঙ্গ করেছে তারা
- জেল থেকেই পরীক্ষায় বসলেও শেষ পর্যন্ত পাশ করতে পারেনি তারা
নয়া দিল্লি: আর এক সপ্তাহ পরেই ফাঁসির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডে (Nirbhaya Case) দোষী সাব্যস্ত ৪ জনের। এই মুহূর্তে জেলবন্দি রয়েছে তারা। তবে ওই জেলের মধ্যে ৪ আসামি যে খুব একটা শান্তশিষ্ট ছিল না তা জানা যাচ্ছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র মারফৎ। জানা গেছে, ওই ন্যক্কারজনক ঘটনায় দোষী সাব্যস্তরা (Nirbhaya Gang Rape Convicts) জেলে থাকাকালীন ২৩ বার সেখানকার বিধিভঙ্গ করেছে। তবে জেলবন্দি অবস্থায় যা যা কাজ তারা করেছে তাতে মজুরি হিসাবে প্রায় ১,৩৭,০০০ টাকা আয় করেছে দোষী ব্যক্তিরা। ২০১২ সালে দিল্লিতে প্যারামেডিকেলের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে অক্ষয় ঠাকুর সিং, মুকেশ, পবন গুপ্তা এবং বিনয় শর্মাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই নির্ভয়া কাণ্ডের আসামি ওই ৪ জনের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করে দিল্লি আদালতের বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে। জানা গেছে, জেলবন্দি থাকাকালীন বিনয় শর্মাকে কারাগারের নিয়ম ভাঙার জন্য ১১ বার শাস্তি দেওয়া হয়েছে, অক্ষয় ঠাকুর সিংকে একবার শাস্তি দেওয়া হয়েছে, মুকেশ ৩ বার আইন ভঙ্গ করেছে এবং পবন গুপ্তা ৮ বার জেলের বিধিভঙ্গ করেছে।
Nirbhaya case: রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি অন্যতম ধর্ষক মুকেশ সিংহর
সূত্র জানায়, গত সাত বছরে মুকেশ কোনও কাজ না করলেও অক্ষয় জেলে কাজ করার মজুরি হিসাবে ৬৯,০০০ টাকা আয় করেছে, পাশাপাশি পবন ২৯,০০০ টাকা এবং বিনয় ৩৯,০০০ টাকা করেছে।
২০১৬ সালে, তিন আসামি - মুকেশ, পবন এবং অক্ষয় দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয় এবং পড়াশুনোর শেষে পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেনি তারা। এদিকে বিনয়, ২০১৫ সালে স্নাতক পরীক্ষার জন্যে ভর্তি হলেও সে তা শেষ করতে পারেনি।
Nirbhaya Case: শীর্ষ আদালতে খারিজ দুই ধর্ষকের প্রাণভিক্ষার আর্জি
সাজাপ্রাপ্ত সকলকেই ফাঁসির আগে তাদের পরিবারের সঙ্গে দু'বার দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিনয়ের বাবা তাকে জেলে দেখতে এসেছিলেন।
২০১২ সালে দিল্লিতে এক মেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে দণ্ডিত এই চারজনকে ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা গত মাসেই শুরু হয়েছিল। দোষীদের আলাদা আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে এবং সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে । ফাঁসির প্রস্তুতি হিসাবে রবিবার তিহার জেলে একটি "ডামি ফাঁসি" দেওয়া হয়।