এর আগেও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু করে তারা, যা খারিজ হয়ে যায়
নয়াদিল্লি: আর মাত্র কয়েকঘন্টা পরেই নির্ভয়ার সাজাপ্রাপ্তদের (Nirbhaya gang-rape Convicts) ফাঁসি কার্যকর করা হবে, তার আগে শেষ মুহুর্তে সাজা কার্যকর রদ করার আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে তাদের আবেন খারিজ। বিচারপতি মনমোহন সিং, “কোনও বিধি নেই, পক্ষের কোনও মেমো নেই, বিষয়টিতে কিছুই নেই, কোনও হলফনামা নেই, কিছুই নেই। এই আবেদন করার আপনাদের কি অনুমতি আছে”? বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে, আবেদনকারীদের আইনজীবী এপি সিং বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে জেরক্স করা সম্ভব হয়নি। বিচারপতি বলেন, “দেখেন, কীভাবে আদালত খোলে। আজ আপনি তিনটি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আপনি বলতে পারেন না সম্ভব নয়। আপনার কথা শুনতে আমরা রাত ১০টা পর্যন্ত রয়েছি”।
রাত পেরলেই ফাঁসি! আত্মহত্যার হুমকি দিলেন নির্ভয়া আসামি অক্ষয়ের স্ত্রী
শুক্রবার সকাল ৫.৩০টায় ফাঁসি হওয়ার কথা তাদের। সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ পরেই এই আবেদনের শুনানি। এর আগে অক্ষয় কুমার সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মার ফাঁসির সাজা কার্যকর রদ করার আবেদন জানিয়ে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা, যা খারিজ হয়ে যায়, এরপরেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। আদালত জানায়, সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছে তারা। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন করে নির্ভয়ার সাজাপ্রাপ্তরা, যা খারিজ হয়ে যায়।
চারজন আসামী এবং আরও দুজন, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, চলন্ত বাসে ২৩ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ ও তাঁর ওপর নৃশংস অত্যাচার করে। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
শেষবার ছেলেকে কচুরি খাওয়াতে চান নির্ভয়া মামলার আসামি বিনয় শর্মার মা
মূল অভিযুক্ত রাম সিং এর দেহ উদ্ধার হয় জেলের মধ্যেই ঝুলন্ত অবস্থায়। অন্য আরেকজন, অপরাধের সময় ১৮ বছরের কম বয়স হওয়ায়, তাকে তিন বছর সংশোধনাগারে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নির্ভয়াকাণ্ডের পরেই দেশজুড়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে, কীভাবে ধর্ষণ ও খুনের মতো অপরাধের পরেও একজন নাবালকের সঙ্গে কী বিচার ব্যবস্থা হওয়া উচিত তা নিয়ে আইনি চর্চা ও পরিবর্তন হয়।