This Article is From Jan 07, 2020

আদালতে নির্ভয়ার মায়ের কাছে ক্ষমার আর্জি সাজাপ্রাপ্তের মায়ের

রায়ের পর, নির্ভয়ার মা সাংবাদিকদের বলেন, চার অপরাধীর সাজা কার্যকর করা দেশের মহিলাদের শক্তি বাড়াবে

নির্ভয়ার মা বলেন, “আমারও একটা মেয়ে ছিল"

নয়াদিল্লি:

মঙ্গলবার আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ২০১২ নির্ভয়া  (Nirbhaya Gang-rape and Murder) গণধর্ষণ, অত্যাচার ও খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসির সাজা কার্যকর করতে হবে ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায়, তবে আদালতের এই ঘোষণার আগে নির্ভয়ার মায়ের কাছে গিয়ে ছেলের প্রাণভিক্ষার আর্জি জানালেন এক সাজাপ্রাপ্তের মা। নির্ভয়ার মায়ের কাছে যান সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিং-এর মা, ভিক্ষার ভঙ্গিতে তাঁর আঁচল ধরেন এবং আবেদন করেন, “আমার ছেলেকে ক্ষমা করে দিন। আমি ওর জীবন ভিক্ষা চাইছি”। তিনি কাঁদতে শুরু করেন, নির্ভয়ার মা বলেন, “আমারও একটা মেয়ে ছিল। তার সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা আমি কী করে ভুলব? বিচারের জন্য আমি সাত বছর অপেক্ষা করেছি”। তারপরেই আদালত নীরবতা বজায় রাখার আদেশ দেন বিচারক।

নির্ভয়াকাণ্ডের চার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসি ২২ জানুয়ারি, জানাল দিল্লি আদালত

রায়ের পর, নির্ভয়ার মা সাংবাদিকদের বলেন, চার অপরাধীর সাজা কার্যকর করা দেশের মহিলাদের শক্তি বাড়াবে। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস বাড়াবে। আমাদের জন্য ২২ জানুয়ারি একটি বড় দিন। আমার পেয়ে ন্যায়বিচার পেল”।  

জানা গিয়েছে, রায় ঘোষণার পরেই, কান্নায় ভেঙে পড়ে সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় কুমার সিং। মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেছে আদালত, ফলে ১৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। তারমধ্যেই তাদের সমস্ত আইনি বিকল্পের সাহায্য নিতে হবে।

“বিচার পেল দেশের মেয়ে”, প্রতিক্রিয়া নির্ভয়ার মায়ের

সূত্রের খবর, চারজনকেই আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। একবারই তারা পরিবরের একজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে।

২০১২ এর ১৬ ডিসেম্বর, বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন প্যারামেডিক্যালের ২৩ বছরের তরুণী, বাড়ি ফেরার সময় যখন তাঁরা গাড়ি খুঁজছিলেন, সেই সময় দক্ষিণ দিল্লিতে একটি বাসে ওঠেন তাঁরা, সেখানে চালক এবং খালাসি সহ মোট ৬ জন ছিল, বাকি বাসটি ফাঁকা ছিল।

প্রায় কয়েকঘন্টা ধরে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ ও অত্যাচার করা হয় এবং পরে তাঁকে বাস থেকে বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। ২৯ ডিসেম্বরে ওই নির্যাতিতা তরুণীর মৃত্যু হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আছড়ে পড়ে।

.