This Article is From Mar 19, 2020

শেষবার ছেলেকে কচুরি খাওয়াতে চান নির্ভয়া মামলার আসামি বিনয় শর্মার মা 

তিনি বলেন, ‘‘তিহার জেল কর্মীরা আমাকে কখনওই কোনও খাবার দিতে দেননি ওকে। যদি এবার তাঁরা অনুমতি দেন তাহলে আমি ওর জন্য পুরী, সবজি, কচুরি নিয়ে যেতে চাই।’’

শেষবার ছেলেকে কচুরি খাওয়াতে চান নির্ভয়া মামলার আসামি বিনয় শর্মার মা 

নির্ভয়া মামলার অন্যতম আসামি বিনয় শর্মা।

হাইলাইটস

  • শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি হওয়ার নির্ভয়া মামলার আসামিদের
  • অন্যতম অপরাধী বিনয় শর্মার মা জানিয়েছেন, তিনি ছেলেকে শেষবার দেখতে যাবেন
  • ছেলেকে কচুরি, সবজি খাওয়াতে চান বলেও জানান তিনি
নয়াদিল্লি:

যত এগিয়ে চলেছে ঘড়ির কাঁটা, ততই যেন শেষ হয়ে আসছে আশা। এর আগে শেষ মুহূর্তে ফাঁসি রদ হলেও এবার যে তেমন সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে বুঝতে পারছেন নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) অন্যতম আসামি বিনয় শর্মার (Nirbhaya Case Convict Vinay Sharma) মা। এখন তিনি চান ছেলেকে শেষবারের মতো তার প্রিয় খাদ্য ‘পুরী, সবজি, কচুরি' খাওয়াতে।  ২০ মার্চ, শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি হওয়ার কথা এই মামলার চার আসামি মুকেশ সিংহ (৩২), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) ও অক্ষয়কুমার সিংহর (৩১)। ১৬ ডিসেম্বর ২০১২ সালে দিল্লির এক তরুণীকে ধর্ষণ ও তাঁর উপরে লোহার রডের সাহায্যে অমানুষিক অত্যাচার চালায় অপরাধীরা। পরে ২৯ ডিসেম্বর মারা যান তরুণী। সারা দেশে তরুণীর নাম হয় ‘নির্ভয়া'।

কোনও আইনি পথ আর বাকি নেই নির্ভয়ার আসামিদের, জানাল আদালত

আসামিদের কোনও আইনি পথ আর বাকি নেই বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির এক আদালত। কেবল ‘বিনয় শর্মার মা' হিসেবে পরিচিত হতে চাওয়া নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলাটিও তাই ক্রমশই হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন। দক্ষিণ দিল্লিতে রবিদাস ক্যাম্পের বাইরে নিজের বাড়ির বাইরে এসে বললেন, ‘‘আপনি কে? কী চান? ভিতরে কেউ নেই। আমার স্বামী কাজে গেছেন। আমি বিনয় শর্মার মা।''

এক সরু গলির ভিতরে বিনয় শর্মার বাড়ি। সেই বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিনয়ের মা। বয়স পঞ্চাশ হলেও শরীরে অকাল বার্ধক্যের ছোঁয়া স্পষ্ট।

ফের পিছোবে ফাঁসি? মৃত্যুদণ্ডের আগে নির্ভয়া কাণ্ডের আসামি মুকেশের নয়া কৌশল

ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘‘কী লিখবেন? আপনার লেখায় কিছু বদলাবে? এখনও পর্যন্ত আপনাদের লেখায় কিছু হয়েছে কি? যদি ভগবান চান তাহলে ও বেঁচে যাবে। করোনা ভাইরাসের দিকে দেখুন। ভগবানই সব তৈরি করেন। তিনিই ঠিক করেন কে বাঁচবে কে মরবেন। এতে মানুষের কোনও হাত নেই। না আপনার, না আমার।''

মহিলার প্রশ্ন, ‘‘তিহার জেল কর্মীরা আমাকে কখনওই কোনও খাবার বা অন্য কিছু খেতে দিতে দেননি ওকে। যদি এবার তাঁরা অনুমতি দেন তাহলে আমি ওর জন্য পুরী, সবজি, কচুরি নিয়ে যেতে চাই।'' জানালেন, শিগগিরি ছেলেকে শেষবারের জন্য দেখতে জেলে যাবেন তিনি।

গত ৫ মার্চ আদালতে আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়।

রাম সিংহ ও মুকেশ সিংহর পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেলেও পবন গুপ্তা ও বিনয় শর্মার পরিবার রয়ে গিয়েছে আগের এলাকাতেই। পবন গুপ্তার পরিবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.