নিউ দিল্লি: 2012 সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক ছাত্রীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে ও তাঁকে ধর্ষণ করার দায়ে মূল অভিযুক্ত চারজনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হল।
চারজনের মধ্যে তিনজন দোষী তাদের শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিল। যদিও দোষীদের কাছে তাদের সাজাকে চ্যালেঞ্জ করার আরও একটি আইনি বিকল্প রয়েছে। তাতেও না হলে শেষতম বিকল্পটি হল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।
“আমাদের আদেশকে পুনরায় পর্যালোচনা করার মতো আর কোনও উপাদান অবশিষ্ট নেই”, তিন বিচারপতির বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এই কথা বলেন। শাস্তি কমানোর আবেদন করেছিল যে দোষীরা, তাদের নাম – মুকেশ (29), পবন গুপ্ত (22) এবং বিনয় শর্মা (23)।
চতুর্থ দোষী, 31 বছর বয়সী অক্ষয় কুমার সিং, গত বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোনোর পর শাস্তি কমানোর জন্য কোনও আবেদন করেনি।
গত বছরের মে মাসের 5 তারিখে এই মামলা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া রায়ই বহাল রেখে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এক যুবতীকে ধর্ষণ এবং মারাত্মকভাবে আহত করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছিল আদালত। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই ওই যুবতীর মৃত্যু হয়।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর দোষীদের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, বিচারের নামে এটি আসলে ঠান্ডা মাথায় করা খুন। গত বছরের নভেম্বর মাসে আদালত তাদের আবেদন শুনতে রাজি হয়।
2012 সালের 16 ডিসেম্বরের সেই রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে 23 বছর বয়সী মেডিক্যালের ছাত্রীটিকে পাশবিক অত্যাচার করে গণধর্ষণ করা হয়। গোটা দেশ সেইসময় গর্জে উঠেছিল এই নারকীয় ঘটনার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনা এবং তারপর হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদের ফলে মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের আইনটিতেও বড়োসড়ো রদবদল করা হয়।
অভিযুক্ত ছ’জনের মধ্যে ওই বাসের চালক রাম সিং জেলের ভিতরেই আত্মহত্যা করে। অভিযুক্তদের মধ্যে বয়সে সবথেকে ছোটো যে, ঘটনার সময় তার 18 বছর না হওয়ায় তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তিন বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ছাড়া পেয়ে যায় সে।