সীতারমন টুইট করে বলেন, যাঁদের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছেন তাঁদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ।
হাইলাইটস
- অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন টুইটে জানালেন বিপুল সাড়া পেয়েছেন তিনি।
- তিনি জানিয়েছেন, সকলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ।
- আগামী ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় বাজেট প্রকাশ করবেন নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী।
নয়াদিল্লি: নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) আজ টুইট করে জানালেন বিপুল পরিমাণে সাড়া পেয়েছেন তিনি। সেই সমস্ত মেসেজকে স্বাগত জানিয়ে তিনি টুইট (Tweet) করে জানালেন, ‘‘... ওগুলিকে আসতে দিন''। আগামী ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় বাজেট প্রকাশের আগেই প্রভূত সাড়া পাচ্ছেন নতুন অর্থমন্ত্রী। বিশ্বব্যাঙ্ক পরিকল্পনা করেছে আগামী ৩ বছরে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে। বলিষ্ঠ বিনিয়োগ এবং ব্যক্তিগত ব্যয়ের মাধ্যমে সেটা করার কথা বলা হচ্ছে। এর আগেও অবশ্য তারা এই কথা বলেছে। এদিন সীতারমন টুইট করে বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়া, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমে বহু পণ্ডিত, অর্থনীতিবিদ এবং আগ্রহী ব্যক্তিরা যে ভাবনাচিন্তা বা আইডিয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি সেগুলির মধ্যে অনেকগুলিই পড়েছি। আমার দল সেগুলি আমাকে সাজিয়ে দিয়েছে। প্রতিটিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ। দয়া করে এইগুলিকে আসতে দিন।''
অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে সামলাতে মোদীর নয়া পরিকল্পনা: দু'টি নতুন কমিটি
আজ শক্তিশালী মুদ্রা নীতি কমিটি পলিসি রেটের ২৫ বেসিস পয়েন্ট কেটে তাকে ৫.৭৫ শতাংশে নিয়ে এসেছে। ২০১০-এর জুলাইয়ের পরবর্তী সময়ে এটাই সবচেয়ে কম। এক বেসিস পয়েন্ট হল শতাংশ পয়েন্টের এক শতাংশ।
মুদ্রা নীতি কমিটির ছ'জন সদস্য ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে ভোট দেন। নীতি অবস্থান ‘নিরপেক্ষ' থেকে ‘নমনীয়' করা হয়েছে। রয়টার্সের একটি ভোটের হিসেবে ৬৬ জন অর্থনীতিবিদের মতে এই সাম্প্রতিকতম পলিসি কাটের পরে এই অবস্থানকেই মুদ্রা নীতি কমিটি ধরে রাখতে পারে এবছরের শেষ পর্যন্ত।
বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট ভারতের কাছে স্বস্তির কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। গতকালই কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছিল, ভারতের বৃদ্ধির হার গত পাঁচ বছরের সবথেকে খারাপ ৫.৮ শতাংশে পৌঁছেছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিক হিসেবে। এর ফলে দেশ চিনের পিছনে চলে গেল।
‘‘বাঙালি ছেলেরা মেঝেতে ঝাঁট দিচ্ছে, মেয়েরা বারে নাচছে'': তথাগত রায়ের নতুন টুইট
এই হিসেব নিঃসন্দেহে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পরেই সীতারমনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। দ্রুত কোনও জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি মোদী সরকারের প্রথম পর্যায়ে জুনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন সীতারমন। অরুণ জেটলির অসুস্থতার কারণে সরে যাওয়ার পরে তাঁকে ওই পদে নিযুক্ত করা হল। এমনও শোনা গিয়েছিল অমিত শাহ হয়তো অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু মোদী চেয়েছিলেন অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করা হোক।