This Article is From Oct 16, 2019

একসময় আমরা রঘুরাম রাজনকে আরবিআইয়ের প্রধান "বেছে" ছিলাম: কটাক্ষ অর্থমন্ত্রীর

অর্থমন্ত্রী Nirmala Sitharaman বলেন, "আমি বলতে চাইছি যে ওই গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব পুরো বিষয়টিকে দুর্নীতির দিকে পরিচালিত করেছিল"

একসময় আমরা রঘুরাম রাজনকে আরবিআইয়ের প্রধান

প্রায়ই মোদি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর Raghuram Rajan

নয়া দিল্লি:

এ যেন ইঁটের জবাব পাথরে দেওয়া। রঘুরাম রাজনের সমালোচনার জবাবই যেন ঘুরিয়ে দিয়েন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার তিনি "অতি গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের" বিষয়ে দেশকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন ওই গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের আবর্জনা এনডিএ সরকার  "আজও পরিষ্কার করে চলেছে"। তাঁর এই মন্তব্যকে অনেকেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনকে লক্ষ্য করে করা বলে মনে করছেন।  গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে "জাতীয়তাবাদ প্রধান" সরকার বলে কটাক্ষ করে তিনি (Raghuram Rajan) বলেন যে এটির কারণেই দেশে "স্বতন্ত্র বিভাজন" তৈরি হচ্ছে। "আমি বলতে চাই যে প্রবল গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব পুরোপুরি দুর্নীতির দিকে পরিচালিত করেছিল। প্রবল গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব। সবচেয়ে বড় কথা সব মন্ত্রিসভাতেই সবার আগে যিনি থাকেন তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী", কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন নির্মলা সীতারামন।

"ভারতের মতো একটি বৈচিত্র্যময় দেশে একটি কার্যকর নেতৃত্ব থাকা দরকার। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলে এর আগে এমন দুর্নীতি হয়েছে যার আবর্জনা এখনও পরিষ্কার করে চলেছি আমরা", নিউ ইয়র্ক সিটির বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত দীপক ও নীরা রাজ সেন্টার আয়োজিত ভারতীয় অর্থনৈতিক নীতি বিষয়ক এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

"সংখ্যাগরিষ্ঠতাই দেশকে অনিশ্চিত পথ এবং অন্ধকারের তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে": রঘুরাম রাজন

"... আমি রঘুরাম রাজনকে এক মহান পণ্ডিত হিসাবে শ্রদ্ধা করি, অথচ তিনি এমন সময় ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকতে পছন্দ করেছিলেন, যখন ভারতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ ছিল", বলেন তিনি ।

bnr4rbn

মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেননি রঘুরাম রাজন

ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ জোট বা ইউপিএ সরকারের আমলে হওয়া টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিকে বারবার নিশানা করেছে বিজেপি। তাঁরা এটাও দাবি করে যে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস দল তাঁদের আমলে আসলে একটি দুর্নীতিপূর্ণ  ব্যবস্থাকেই বিকশিত হতে দিয়েছে।

পাশাপাশি নিজের ভাষণে, নির্মলা সীতারামন পাবলিক সেক্টর ব্যাংকগুলিকে "সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে" নিয়ে যাওয়ার জন্য রঘুরাম রাজন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উভয়কেই দোষারোপ করেছেন।

এর আগে প্রাক্তন আরবিআইয়ের গভর্নরের (Raghuram Rajan) নীতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতি না মেলায় নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজন। এমনকি সরকারের নোট বাতিল অর্থাৎ ডিমনিটাইজেশনেরও তীক্ষ্ণ সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এবার রঘুরাম রাজন সরাসরি বললেন যে, কেবল "অভ্যন্তরীণ সংহতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি" এবং "সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ" ভারতের জাতীয় সুরক্ষা জোরদার করতে সহায়তা করে না।

মনমোহন-রঘুরামের আমলে সবচেয়ে বেশি ধুঁকছিল পাবলিক সেক্টর ব্যাংক: অর্থমন্ত্রী নির্মলা

৯ অক্টোবর ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াটসন ইনস্টিটিউটের ওপি জিন্দাল ভাষণে রঘুরাম রাজন বলেন, "আমি বিশ্বাস করি না যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার আসলে দেশের উন্নতি সাধন করে, বরং তাঁরা একে দুর্বল করে দেয়, কেননা তাঁরা তাঁদের শর্তে দেশ চালাতে চায়। ভারতে, যেমন হিন্দুত্ববাদকে সর্বজনীন ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে"।

তিনি বলেন, "দীর্ঘমেয়াদি অবস্থায়, আমার মনে হয় যে বিভাজনবাদী, জনবহুল বৃহতন্ত্রবাদের থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সংহতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভারতের জাতীয় সুরক্ষার মূল কারণ হতে পারে। সুতরাং এই ধরণের জাতীয়তাবাদী রাজনীতি নির্বাচনে অবশ্যই কিছুটা সময়ের জন্যে জয়ী হতে পারে, কিন্তু এটি ভারতকে অন্ধকারের তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে এবং একটি অনিশ্চিত পথের দিকে নিয়ে যাচ্ছে" । 

দেখুন ১৬.১০.২০১৯-এর সেরা খবর:

.