লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে তৎপর হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার
- এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি
- এটা শ্রমিকদের ফেরানোর আদর্শ সময় নয়, পরামর্শ তাঁর
নয়া দিল্লি: পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) উত্তরপ্রদেশে ফেরানোর এখন সঠিক সময় নয়। এভাবেই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (UP CM) পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী (Nitin Gadkari) বলেছেন, "আমি শুনলাম উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি। আমি উনাকে অনুরোধ করব, এখনই পথে বাস নামাবেন না। আমার মনে হয় এখন সবার সতর্ক থাকার সময়। এটা সঠিক সময় না। যদি কোনও শ্রমিক সংক্রমিত হয়ে থাকে, তাহলে সেটা উত্তরপ্রদেশের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।" বরং তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে জারি করা কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার সমর্থন করেছেন। নীতিন গডকড়ি মনে করেন, "সব রাজ্যের এখন উচিত পরিযায়ী শ্রমিকদের দায়িত্ব নেওয়া। তাঁদের অর্থ ও খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে উদ্যোগী হওয়া।" এদিকে, শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ধাপে ধাপে গ্রামে ফেরানো হবে।
এমএসএমই বাঁচাতে ৫ দফা সুপারিশ-সহ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন সনিয়া গান্ধি
গত মাসে খানিকটা গডকরির সুরে কথা বলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেছিলেন, লকডাউনের আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্ব -স্ব রাজ্যে ফেরালে ব্যর্থ হবে লকডাউনের উপলক্ষ্য। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৮০০ ছুঁয়েছে উত্তরপ্রদেশে সংক্রমণ। মৃত ২৬ জন। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যান সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২৯টি নতুন সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। এই সংখ্যা ধরে শনিবার পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমিত ২৪,৫০৬ জন।
আরও বেশি বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিল WhatsApp
তবে বৃহস্পতিবার-শুক্রবার হিসেব করলে ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫২ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছিল। যা একদিনে সর্বাধিক বৃদ্ধি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মন্ত্রক। সেই তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টার ৬% বৃদ্ধি অনেকটা আশাব্যাঞ্জক। এমনটাই দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপার্ষদের একটি বৈঠক হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বাধীন সেই বৈঠক থেকেই এই পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, দিনপ্রতি মৃত্যুর হার ৩.১% আর সুস্থ হওয়ার হার ২০%। এই ধারা অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। অন্তত বাইরের অন্য দেশগুলোর বিচারে সংক্রমণ-সহ মৃত্যুর হার কমায় উদ্বেগ খানিকটা কমছে। এদিন এমন দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সূত্র।